নির্বাচন

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি-ইসলামী আন্দোলন

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:৫৪:২০

শেয়ার করুন

দেশের পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে বরিশাল, গাজীপুর, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইকে বৃহস্পতিবার মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

দলটির পক্ষ থেকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ কমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির।

তিনি বলেন, বাকি সিটির মধ্যে গাজীপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খুলনায় দলের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজশাহী মহানগর সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুরের মেয়র প্রার্থী ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা আশাকরি সরকারের কোনরকম হস্তক্ষেপ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশন ব্যার্থতার পরিচয় দেয় তবে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই নির্বাচনই বলে দেবে জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটুকু সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

রংপুর সিটি নির্বাচন অনেকটা সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এজন্য আমরা আশাবাদী গাজীপুর সিটি নির্বাচনও ভালো হবে।”

রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে আচরণবিধি মেনে চলছেন জানিয়ে আতাউর বলেন, “আমরা আইন মানার লোক। অন্যান্য প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন; কিন্তু তাদের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।”

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসার পর স্থানীয় নির্বাচন কেন ব্যালটে হচ্ছে না, সে প্রশ্নও রাখেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা।

তিনি বলেন, “আমরা ইভিএমের পক্ষে নই। এতে মানুষের বিড়ম্বনা হয়, সংকট সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে এখনও শঙ্কা আছে, তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে কি না, ভোট দিলে সঠিকভাবে গণনা হবে কি না।

“নির্বাচন কমিশন বলেছে, প্রত্যেক সেন্টারে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে সিসিটিভি ছিল; কিন্তু সেখানে যারা ভোট নিয়েছেন তারা অনিয়ম করেছেন। নির্বাচনী কর্মকর্তারাও অনিয়ম করেছেন।”

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফাইজুদ্দিন, সিটি নির্বাচনে দলের প্রধান সমন্বয়ক আবু হানিফ সরকারও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content