রাজনীতি

আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না ‘গাসিক’ মনোনয়ন জমা দিয়ে-আজমত উল্লাহ খান

  প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:৩৬:১৪

শেয়ার করুন

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। আমার শক্তি জনগণ। আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। নৌকার পক্ষে জনতা আছে, তাই আমি নৌকার প্রতিপক্ষ কাউকে মনে করি না।”

আজমত উল্লাহ আরও বলেন, “তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গাজীপুরের সর্বস্তরের জনতার মধ্যে একটা আমেজ, একটা উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। তারা অপেক্ষা করছে নির্বাচন দিনটার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। নির্বাচন কমিশন সুষ্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে। সুতরাং আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।”

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে আজমত উল্লাহ খান বলেন, “উনি নমিনেশন পেপার ক্রয় করেছেন এটা আমি পত্রিকায় দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি যদি তার আস্থা থাকে, দেশের উন্নতির প্রতি যদি আস্থা থাকে, তাহলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। অন্যথায়, তৃণমূল থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে প্রস্তুত হয়ে আছে।”

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী শামীমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই, ৮ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৯ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ২৫ মে ইভিএমের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, ৫৭ টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১৯ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের জন্য ৪৭৮টি কেন্দ্রে ৩,৪৯১টি স্থায়ী এবং ৪৮৬টি অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে। এ নির্বাচনে ৪৭৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৩,৪৯১ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, ৬,৯৮২ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content