রাজনীতি

কারও ফরমায়েসী গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না-কাদের

  প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:০৮:১১

শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই৷ কারও ফরমায়েসী গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। সংবিধান মাফিক হবে সবকিছু৷ অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য চাই দেশব্যাপী৷ বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা কি আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করলো? আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

আজ (বুধবার) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদককের সঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলীর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ৷ দেশের মার্কেটগুলোতে পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে৷ পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই৷ মার্কেটে কী আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে৷ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে৷ দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি৷ জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি৷

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন৷ সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না৷ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ২০০৬ এর মত অস্বাভাবিক সরকার আনতে চাচ্ছে বিএনপি; যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া হবে না৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বিএনপির নেতৃত্ব যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসের কালো ছায়া যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে সেজন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

পরে এক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের ছুটিতে জনসংযোগের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, লে. কর্নেল অব. ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content