ইসলাম

যাকাত কি-সর্বনিম্ন কত টাকা থাকলে যাকাত দিতে হবে?

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:৩৮:৪৫

শেয়ার করুন

যাকাত কি বা কাকে বলে
নির্দিষ্ট সম্পদের ভেতর শরীআত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণকে যাকাত বলা হয়, যা বিশেষ শ্রেণি ও নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয়।

মূলত সম্পদশালী তার সম্পদের যাকাত প্রদানের কারণে তার অন্তর কৃপণতার কলুষ হতে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ হয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায় এ জন্যই যাকাতকে যাকাত বলা হয় ।

আল্লাহ তাআলা বলেন:পক্ষান্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যারা জাকাত আদায় করে থাকে, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। [সূরা আর রূম: ৩৯]

যাকাতের বিধান
যাকাত ইসলামের ফরজ সমূহের একটি বড় ফরজ এবং ৫টি ভিত্তির একটি ভিত্তি। গুরুত্বের দিক থেকে কালেমা এবং সালাতের পরই ইসলামে যাকাতের স্থান। আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে সালাতের সাথে জাকাতকে বহুবার উল্লেখ করেছেন। কুরআন, হাদীস ও ইজমা’ দ্বারা জাকাত ফরজ সাব্যস্ত হয়েছে।

সুতরাং, যে ব্যক্তি যাকাত ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করবে, সে কাফের এবং ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাকে তওবা করার জন্য বলা হবে, যদি তওবা করে পুনরায় ইসলামে ফিরে আসে তবে ভাল, নচেৎ তাকে ইসলাম ত্যাগের কারণে হত্যা করা হবে। কিন্তু যদি সে নও মুসলিম হয় অথবা একেবারে গ্রামে লালিত-পালিত হয়, যেখানে ইসলামের বিধি বিধান জানার কোন ব্যবস্থা নেই, তাহলে ইসলামের বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে তাকে হত্যা না করে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি জাকাত আদায় করতে চাইবে না’ তার নিকট হতে জোরপূর্বক আদায় করা হবে। যেমনভাবে আবু বকর [রা] যাকাত আদায়ে যারা অসম্মতি জানিয়েছিল তাদের থেকে আদায় করেছিলেন। যে ব্যক্তি জাকাত আদায়ে কৃপণতা করবে অথবা পরিমাণে কম আদায় করবে, সে জালেমদের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহ তাআলার শাস্তিযোগ্য।

জাকাত হিসাব করার পদ্ধতি

বর্তমান বাজার অনুযায়ী যার কাছে ৭০ থেকে ৭৩ হাজার টাকা আছে, তাকেই জাকাত দিতে হবে। তবে, এটা নির্ভর করে আপনার রুপার মূল্যের ওপর। রুপার মূল্য যদি বেশি থাকে, তাহলে আরেকটু বেশি। ৫৮৫ গ্রাম রুপার মূল্যের সমান অর্থ থাকলে জাকাত দিতে হবে। না হলে দিতে হবে না। এখন আপনার সে মূল্য দেখতে হবে। তবে, আমাদের হিসাব অনুযায়ী সেটা ৭০ থেকে ৭৩ হাজার টাকা হবে।

বছরের একটা সময় দিন-তারিখ নির্ধারণ করে দোকানে বিদ্যমান পণ্যের মূল্যের হিসাব করে দেখা গেল, পাঁচ লাখ টাকার পণ্য আছে। অতঃপর ওই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর আবার আনুমানিক পণ্যের মূল্য ধরে দেখা গেল, শুরুতে যে পরিমাণ সম্পদ ছিল, তা নেসাব পরিমাণ। আবার এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর যে পণ্য আছে, তাও নেসাব পরিমাণ, তাহলে সমুদয় সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ৩/১৮২)।

যদি সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্যিক পণ্যের মধ্যে কোনোটি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এই পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে সব সম্পদ হিসাব করে জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৭০৮১)।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content