প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৩৭:০৩
সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা চার দিনের ভয়াবহ লড়াই বন্ধে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরও রাজধানী খার্তুমে ভারি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরও খার্তুমের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের খবর জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমেও একই চিত্র দেখা গেছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টপাল্টি বিবৃতিতে দিয়েছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর শীর্ষপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, তারা রাজধানী এবং অন্যান্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ বলেছেন, আমরা এমন কোনো ইঙ্গিত পাইনি যে আসলে সেখানে যুদ্ধ থামানো গেছে।
সুদানের সামরিক নেতা ও সামরিক কাউন্সিলে তার সহকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চার দিন আগে শুরু হয়েছিল। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেতা বশিরের পতনের পর থেকেই পরিস্থিতি আরও অবনিত হতে দেখা গেছে। মূলত ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসএফের মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু।
দুই পক্ষের মধ্যে এমন লড়াইকে মানবিক বিপর্যয়ের শুরু হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। নতুন করে সংঘাতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিনজন কর্মী ইতেমধ্যে নিহত হয়েছেন। অনেক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী ও ত্রাণ সংস্থা দেশটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, কয়েক দিনের লড়াইয়ে অন্তত ১৮৫ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।