জাতীয়

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২৩ , ১১:৫৯:০৬

শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

বুধবার (২৪ মে) কাতারের দোহার র‌্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন সেশনের সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

বিএনপি ও তার শরীক দলগুলো চাইছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এই লক্ষ্যে তারা বর্তমান সরকার পতনের দাবি রাজপথে আন্দোলন ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য এসেছে।

দেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তখন নির্বাচন ছিল একটি প্রহসন।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।

‘তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এবং আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে নির্বাচনের সময় তাই করেছি।’

বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো সংগঠন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। তখন কি ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে, তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।

‘এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসি নাই’। তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মানুষজন কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ।

তিনি আরও বলেন, তারা কখনও জনগণের কথা ভাবেনি। মানুষের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন- এমন পরিস্থিতি ছিল।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content