জাতীয়

গাড়ীতে পতাকা ব্যবহার বন্ধসহ ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি দূতের স্থায়ী এসকর্ট সুবিধা বাতিল

  প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ৯:৪৩:১৫

শেয়ার করুন

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা তথা সার্বক্ষণিক পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। এখন থেকে তারা আর স্থায়ীভাবে পুলিশ এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। রোববার সরকারি এক সিদ্ধান্তে দূতদের বিশেষ এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একাধিক সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩০ বছর আগে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ভারতের দূতদের জন্য ওই বিশেষ এসকর্ট সুবিধা চালু হয়। পরবর্তীতে কোনো এক সময়ে ওই তালিকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে অন্য দূতরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বিশেষ সময়ে ওই সুবিধা গ্রহণ করতেন। রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। কেবল এসকর্ট প্রত্যাহারই নয়, রাষ্ট্রদূতদের গাড়িতে ফ্লাগ উড়ানো বন্ধের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মানবজমিনকে বলেন, এখন কোনো দূতই আর বিশেষ বা স্থায়ী এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। সবাইকে এক লেভেলে আনা হয়েছে।

এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হলেও তাদের নিরাপত্তায় কোনো অসুবিধা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
ডিএমপি’র ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইয়াসমিন সাইকা পাশা মানবজমিনকে বলেন, রাষ্টদূতদের এসকর্ট বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি ও ভারতের রাষ্ট্রদূতদের যে স্থায়ী এসকর্ট দেয়া হতো সেটি আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। আগে তাদের জন্য আমাদের কিছু পুলিশ সদস্যকে ফিক্সড করে রাখা হতো। রাষ্ট্রদূতরা যেদিকে মুভ করতেন পুলিশ সদস্যরা তাদের এসকর্ট করে নিয়ে যেতেন। এখন আর সেটা হবে না। যদি তারা মনে করেন তাদের বিশেষ এসকর্টের প্রয়োজন, তবে তারা অন্যান্য রাষ্ট্রদূতের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখবেন। মন্ত্রণালয় পুলিশকে বললে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে, অস্থায়ী এসকর্ট দেবো। তিনি বলেন, মূলত কাজের চাপ বেড়ে যাওয়াতে আমরা তাদেরকে স্থায়ী এসকর্ট দিতে পারছি না। তার মানে এটা নয় যে, দূতাবাসের সিকিউরিটি বন্ধ করা হয়েছে। জাস্ট স্থায়ী এসকর্ট বন্ধ করা হয়েছে। সিকিউরিটি ব্যবস্থা আগের মতোই আছে। সব দূতাবাসেই আমাদের লোকজন কাজ করছে। রাষ্টদূতরা যখনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবেন এবং আমাদেরকে বলা হবে তখনই আমরা এসকর্ট দেবো। ঢাকায় নিযুক্ত সব দূতকে সমান সুবিধা প্রদান করা হবে। এদিকে, রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার করায় কূটনৈতিক পাড়ায় চলছে নানা আলোচনা।

মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া: এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কর্মকর্তা শন ম্যাকিনটোশপাবলিক বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের এবং সুবিধা সমূহের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী, আমরা মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশদ প্রকাশ করি না। ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাগতিক দেশের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে।

আরও দেখুন-

এতোদিনের বাড়তি বাড়তি ঢং বন্ধ হচ্ছে-পররাষ্ট্রমন্ত্রী


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content