প্রতিনিধি ২০ মে ২০২৩ , ১১:১৪:৩৬
পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত বিএনপির দুই থেকে আড়াইশ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
তবে হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ৭ থেকে ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়।
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বনানী সড়কস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জন সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন।
বেশি আম খেলে বিপদ যাদের… সিলেট সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা মেয়র আরিফুলের বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জিএম কাদের ‘নোবেলের মাদকাসক্তির পেছনে কিছু শিল্পী ও এয়ার হোস্টেজ দায়ী’ জাতীয় ‘হিফজুল কুরআন’ প্রতিযোগিতার বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী আজ নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতারণার মামলায় হজযাত্রা শুরু কাল, হজযাত্রীদের পদচারণায় মুখর আশকোনা ক্যাম্প শেখ রেহানা লন্ডনে সামান্য লাইব্রেরিয়ানের চাকরি করেন: তথ্যমন্ত্রী সরকার পতনের দিনটি জানতে পারলে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেত: ওবায়দুল কাদের বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক, অংশ নেবে না চীন রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার লাগাম টানল সরকার দেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা প্রয়োজন: জি এম কাদের বিএনপিকে রাজনীতি থেকে বিদায় করার সময় এসেছে: ইনু খুলনায় বিএনপির ১৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩ ওয়াসার মিটার লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ কীভাবে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, ব্যাখ্যা দিলেন চালক রেলওয়েতে বড় নিয়োগ রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৯ করোনায় মানুষের আয়ুষ্কাল কমেছে ৩৩ কোটি বছর ২০১৮’র নির্বাচনকে সকালে সুষ্ঠু বলে সন্ধ্যায় সুর পাল্টায় বিএনপি: জয়
ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৫০
ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৫০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
২০ মে, ২০২৩ ১৬:৩৪
পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত বিএনপির দুই থেকে আড়াইশ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
তবে হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের ৭ থেকে ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়।
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বনানী সড়কস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জন সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন।
পরে সেখান থেকে শান্তি সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় হঠাৎ দু-পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
এ ঘটনায় মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান বাবলু ও সময় টিভির ক্যামেরা পারসন সুজন দামসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ জন সমাবেশ করার চেষ্টা করলেও আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজন। শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনসমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাদের ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত নেতাকর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, সকালে আমাদের নেতাকর্মীরা শহরের তিতাস সিনেমা হল মোড়ে শান্তি সমাবেশ করছিল। এ সময় ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীর উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের হোটেল হিলটনের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারেফ হোসেন, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, পটুয়াখালী-২ বাউফলের সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।