নির্বাচন

টঙ্গীতে জাহাঙ্গীরের মায়ের গণসংযোগে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৩ , ১১:০৯:৩৩

শেয়ার করুন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় গণসংযোগে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। পরে জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা বাতিল হলেও জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর থেকে জায়েদা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন জাহাঙ্গীর। টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোপালপুর এলাকায় যান তাঁরা। এ সময় একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়িতে ছিলেন জাহাঙ্গীর ও তাঁর মা জায়েদা খাতুন। সেখানে কিছুক্ষণ গণসংযোগ করতেই হঠাৎ ১৫–২০ ব্যক্তি তাঁদের গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় গণসংযোগে ব্যবহৃত গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি কাচের আঘাতে জাহাঙ্গীর আলম, তাঁর মা জায়েদা খাতুনসহ চারজন আহত হন।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, ‘আমরা টঙ্গীতে গণসংযোগের একপর্যায়ে পূর্ব গোপালপুর যাই। সেখানে যেতেই হঠাৎ আমাদের গাড়িতে অতর্কিত হামলা করা হয়। আমাদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় আমি ও আমার মা কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। তবে গুরুতর আহত হয়েছে কর্মী-সমর্থকেরা। এখন অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি।’

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ নিয়েছি। সেখানে রবিউল ইসলাম ও খান সুমন নামের দুজনের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’ তিনি বলেন, তাঁরা ওই এলাকায় গণসংযোগের আগে তাঁদের জানাননি। আগে থেকে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।


শেয়ার করুন