অর্থনীতি

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অনেকটাই কমছে: ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন

  প্রতিনিধি ২২ মে ২০২৩ , ১২:২৩:৩৭

শেয়ার করুন

দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) এবিবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক ২০২৩’ এর ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তবে পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি।”

এবিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বিদেশি অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যাংকই এখন নিয়মিত অবস্থায় ফিরেছে; দুয়েকটি ব্যাংকে কিছু সমস্যা থাকতে পারে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্যাংকগুলো যারা আগে ক্রেডিট লিমিট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তারা এখন দেশে ফিরে আসছে; কারণ দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তারা এখন সন্তুষ্ট।

এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাশরুর আরেফিন বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং আমানত বাড়তে থাকায় ব্যাংকের ডলার হোল্ডিংয়ের নিট ওপেনিং পজিশন এখন নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক অবস্থায় পৌঁছেছে। এছাড়া, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মার্কেটের মাধ্যে ডলার হারের ব্যবধানও কমে এসেছে; এতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে ব্যাংকিং খাতে।”

“বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে। আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক বাজারের হারের মধ্যে ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ টাকায় নেমে এসেছে,” যোগ করেন তিনি।

এবিবির ভাইস চেয়ারম্যানের মতে, গত বছর ব্যাংকগুলোর ডলার হোল্ডিংয়ের নিট ওপেনিং পজিশন গিয়ে ঠেকেছিল ঋণাত্মক ৬০০ মিলিয়ন ডলারে; সেটি এখন বেড়ে ৩৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এছাড়া, ২.৫ শতাংশ প্রণোদনাসহ রেমিট্যান্সের ডলার রেট ১১০.৭০ টাকা, যা অনেক সময় অনানুষ্ঠানিক বাজারে আরও কমে আসে।

অতিরিক্ত তারল্য (এক্সেস লিক্যুইডিটি) এখন ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা উল্লেখ করে মাশরুর আরেফিন বলেন, দেশে তারল্য সংকট প্রাক-সংকটকালীন পর্যায়ে না আসলেও অনেকাংশেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থান ভালো উল্লেখ করে সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলো এখন এলসি খুলতে পারবে, তবে সবক্ষেত্রে নয়।

“আগে ব্যাংকগুলো অর্থপ্রদানের সক্ষমতা বিবেচনা না করেই এলসি খুলত, তবে এখন তারা এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসেছে; এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো এখন আরও সতর্ক,” যোগ করেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অর্থ-পাচার কমাতে সহায়তা করেছে বলেও উল্লেখ করেন এবিবি চেয়ারম্যান।


শেয়ার করুন