সারাদেশ

মুসলিম নারীকে জোরপূর্বক হিন্দু বানিয়ে বিয়ে

  প্রতিনিধি ১২ মে ২০২৩ , ১০:৩১:১৭

শেয়ার করুন

বরগুনার পাথরঘাটায় লিজা আক্তার (১৮) নামে এক মুসলিম নারীকে জোরপূর্বক হিন্দু বানিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে নেপাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের হলে নেপাল ও তার মা রাধা রানীকে আটক করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১০ই মে রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিয়ের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার। ভুক্তভোগী মোসা. লিজা আক্তার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার পশ্চিম ডাকাতিয়ার চর এলাকার মোহাম্মদ আশ্রাফ আলী মুসুল্লির মেয়ে। অভিযুক্তরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন শীলের ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল (২৫) ও তার মা রাধা রানী ও বোন হাসি। ভুক্তভোগী লিজা জানান, ঢাকার গাজীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি। সেখানে হাসির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। হাসি নানাভাবে ফুসলিয়ে গত ৮ই মে পাথরঘাটায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে।

এরপর হাসি, তার মা রাধা রানি ও নেপাল বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও মারধর করে ১০ই মে বেলা ২টার দিকে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুরোহিতের মাধ্যমে জোর করে মৌখিকভাবে হিন্দু বানিয়ে নেপালের সঙ্গে বিয়ে দেয়। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাতে শাঁখা ও মাথায় সিঁদুর পরিয়ে কয়েকদফা ধর্ষণ করে নেপাল। এরপর ১১ই মে রাতে নেপালের বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে আশ্রয় নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আল আমিন জানান, নেপাল বিয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। বিয়ে না দেয়ায় গত ৭ই জুন বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে জেলে যায় নেপাল। কিছুদিন আগে জামিনে এসে তার মা ও বোনের সহায়তায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওই পরিবারের সবাই উচ্ছৃঙ্খল। এলাকার কারও সঙ্গেই তাদের ভালো সম্পর্ক নেই। পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, নেপালের বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি ও চুরির মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও হাসির বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। লিজার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ, ধর্মান্তরিত, ধর্ষণ ও মারধরের মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, লিজা আক্তার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাউল গান পরিবেশন করে। হাসির প্ররোচনায় সে পাথরঘাটায় বেড়াতে এসেছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে মা ও ছেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content