প্রতিনিধি ২১ মে ২০২৩ , ১:৫৯:১৭
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান অবৈধ নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। আগামী দিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দিতে হবে।
শনিবার (২০ মে) মতিঝিলে পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এক জনসমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
এখন থেকে আঘাত এলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, কেউ আমাদের কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাবো তা হতে পারে না।
ব্যালটের বদলে বুলেট কেন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। যা বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশী ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না। জনগণকে ধাপ্পা দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। তোয়াক্কা করলে আজকে জিনিসপত্রের দাম এমন বাড়ত না।
তিনি আরও বলেন, আজকে সরকারের শিল্পপ্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন, ‘সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে’। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন তখন আমরা আর কী বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে। গত শুক্রবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশে গুলি করেছে। কেন? আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারাজীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবার ও সন্তানের বিষয়টি চিন্তা করবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।