অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারে ২ হাজার ৫২২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় ৭০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সই করা আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি চাহিদার ফর্ম থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রসাশন জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারে মোট ৫৭টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ৪৬৯টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০। ঘূর্ণিঝড়ে হতাহত প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, হতাহতের ঘটনা নেই বললেই চলে। সব মিলিয়ে ১৫-২০ জনের মতো হবে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘরবাড়ির পাশাপাশি মাঠে থাকা গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগেভাগে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায় লবণের মাঠে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই লবণ সংগ্রহ করা হয়েছে।
[caption id="attachment_1525" align="aligncenter" width="300"] লন্ড ভন্ড বাড়ি ঘর[/caption]
যেসব লবণ সংগ্রহ করা যায়নি সেখানে মাটিতে গর্ত করে প্লাস্টিকের শিটে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। শুটকি উৎপাদনকারীদেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। মাইকিং করে সব শুটকি আগেই দ্বীপগুলো থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এর বাইরে টেকনাফ ও উখিয়ায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টেকনাফে প্রায় ৫০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মহেশখালীসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ৫০-৬০টি করে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কুতুবদিয়ায় ঝড়ের গতিবেগ কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ