প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ৩:২৯:২৬

খেলার জন্য বিএনপিকে তৈরি হয়ে যাওয়ায় কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে আবারো পদযাত্রা শুরু করেছে, কিন্তু এটাতো তারা পেছনে ফেলে এসেছে। পেছনে ফিরে আবার তাদের পদযাত্রা। তাদের এটাকে লোকে বলে পতনযাত্রা। বিএনপির আর আশা নেই, পাবলিক নেই। পাবলিক না থাকলে কীসের আন্দোলন? খেলা হবে, তৈরি হয়ে যান।
বুধবার (১৭ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সভার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় আর বেশি নেই, আমাদের মাথা ঠাণ্ডা করে চলতে হবে। কাউকে আক্রমণ করব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে কাউকে ছাড়ব না। আমরা আক্রমণ করতে যাব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে আওয়ামী লীগ নেহি ছোড়ে গা, কাউকে ছাড়ব না, এটা আবারও বলে দিতে চাই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,আগুন নিয়ে খেলবেন না। এতো লাফালাফি কেন? লম্ফঝম্ফ করে কোনো লাভ নেই। যে হাতে আগুন নিয়েছেন,ওই হাত পুড়িয়ে দেব। ভাঙচুর করলে ওই হাত ভেঙে দেব। আগুন হাতে আসবেন না, ওই হাত গুঁড়িয়ে দেব। আপনারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন হতে দেবেন না, এত শক্তি কোথায় পেলেন?
সভায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে কেবল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেননি।
এই দেশকে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করেছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ই মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণের পর দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই ’৮১ সালের ১৭ই মে শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর তার হাত ধরে গত ৪২ বছরে বাঙালির জীবনে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনে, বাংলাদেশের ললাটে অনেক নতুন তিলক উঠেছে, বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতদিন জনগণ পক্ষে আছে ততদিন কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।

















