প্রতিনিধি ১৬ মে ২০২৩ , ১০:৩১:৩৫
অস্ত্র প্রদর্শন ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল সেলফি তোলায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সাইদুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গারদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল। এ সময় তিনি বলেন, আসামির সঙ্গে সেলফি তোলার ঘটনায় অভিযানে থাকা এসআই সাইদুলকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া গারদখানার সিসি ক্যামেরার ছবিটি কীভাবে বাইরে ছড়িয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম (বিপিএম-বার) বলেন, থানার গারদের ছবি কোনোভাবেই বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে রোববার (১৪ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর বাশেরহাট খোলা এলাকা থেকে নৌকার প্রধান কার্যালয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের তিন সমর্থকের পথরোধ করে ছাত্রলীগ নেতা মান্না ও তার অনুসারীরা। এ সময় মান্না ও তার অনুসারীরা ওই তিনজনের উপর হামরা করে এবং কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, নৌকার কর্মী হালিম, মনা ও জাহিদুল।
পরবর্তীতে আহত মনা ওই রাতেই বাদি হয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ২১ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই কাউনিয়া থানা পুলিশ গভীর রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মান্নাসহ ১০ জনকে আটক করে। এরপর সকালে র্যাব আরও তিনজনকে আটক করে কাউনিয়া থানায় সোপর্দ করে। ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এদিকে মান্নাকে গ্রেপ্তার ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে ১৫ মে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি দাবি করেন, হামলা-মারধরের সঙ্গে মান্না জড়িত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসিয়েছে।