প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৩ , ১০:৫৮:১৫
প্রতিবছর বিশ্বের লাখো অভিবাসী অবৈধ উপায়ে পাড়ি দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। কাজের খোঁজ কিংবা ইউরোপে পাড়ি জমানোর স্বপ্নের তাড়না; কারণ যা-ই হোক না কেন অবৈধ উপায়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ইউরোপে যান। এতে যে তাদের অনেক ঝামেলার মুখে পড়তে হয়, সেটি নতুন কিছু নয়। তবে বৈধ উপায়ে গিয়েও অনেক বাংলাদেশি শ্রমিককে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। অনেকের বিক্রি হয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ রোমানিয়ায় ঘটছে এমন ঘটনা। এসব তথ্য উঠে এসেছে ইনফোমাইগ্রেন্টস-এর দুই পর্বের প্রতিবেদনে। তার প্রথম পর্ব “দৈনিক হক কথা” পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।
বিদেশী শ্রমিকের কোটা দ্বিগুণ করার পর বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাঝে পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া বেশ জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। চলতি বছরে ইউরোপের বাইরে থেকে নেওয়া শ্রমিকের কোটা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ নির্ধারণ করা হয়। দেশটির বাংলাদেশি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট সাত হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রোমানিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন।
কিন্তু সকল নিয়ম মেনে নিয়োগ পেয়েও বাংলাদেশ রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির কথা এবং রোমানিয়ার বাস্তবতায় থাকছে বিস্তর ফারাক। ওয়ার্ক পারমিটসহ বৈধ ভিসা থাকলেও পৌঁছানোর পর বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিশ্রুতি থেকে ভিন্ন। যার ফলে অবৈধ পন্থা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বহু শ্রমিক।
নিয়োগের সময় প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি
ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করার অনুমতি ও ভিসা সংগ্রহ করে রোমানিয়া এসেছিলেন আহমেদ (ছদ্মনাম)। তিনি ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, ‘দেখলাম বেতন ভালো। বিজ্ঞাপনে মাসিক বেতন লেখা ছিল ৬৫০ ডলার, থাকা-খাওয়া ফ্রি। আমাদের বলা হয়েছিল প্রতি তিন-চার জনের জন্য একটা করে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হব। দৈনিক কর্মঘণ্টা হবে আট, ওভারটাইম করলে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। আমরা ভাবলাম, ইউরোপের একটা দেশ, সেখানে মানবাধিকারের নিশ্চয়তা আছে। তাই আমরা কাজের জন্য রাজি হয়ে যাই।’
রোমানিয়ান কোম্পানিগুলোর পক্ষ হয়ে প্লামার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, কার্পেন্টার ইত্যাদি নানা কাজের জন্য আবেদন সংগ্রহ করে বাংলাদেশের রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলো। সরকার অনুমোদিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলধারার গণমাধ্যমে নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রচার করেছিল। ফলে এর বৈধতা নিয়ে আগ্রহী শ্রমিকদের কোনো সন্দেহও ছিলনা।
আহমেদ জানান, সত্যমিথ্যা যাচাই করার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বাংলাদেশের রিক্রুমেন্ট এজেন্ট এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপ-এর বৈধতা নিশ্চিত হন তিনি।
প্রতিশ্রুত ব্যয়ের দ্বিগুণ
রিক্রুট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দেওয়ার কিছুদিন পর আগ্রহী প্রার্থীদের জানানো হয়, রোমানিয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের সাক্ষাৎকার নেবেন।
এরপর তাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা (এক হাজার ইউরো) করে নেওয়া হয়। মোট কত টাকা লাগবে, এ জিজ্ঞাসার উত্তরে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি তাদের জানায়, সরকারিভাবে নির্ধারিত খরচের বেশি তাদেরকে দিতে হবে না।
চলতি বছর এপ্রিলের ১৮ তারিখে এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপকে সাতটি পদে ২০০ জন শ্রমিকের নিয়োগের অনুমতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেখানে শর্তাবলীতে বলা হয় শ্রমিকদের কাছ থেকে ভিসা এবং বিমান টিকিট নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে অভিবাসন ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ চার লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করতে পারবে এজেন্সিটি।
কিন্তু শর্তটি লঙ্ঘন করা হয়েছিল। ভিসা ও বিমান টিকিট হওয়ার পর তাদের কাছ থেকে প্রকৃতপক্ষে মোট সাত লাখ টাকা (সাত হাজার ইউরো) দাবি করা হয় বলে জানান আহমেদ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাদেরকে প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় এজেন্সির পক্ষ থেকে।
‘আমি আমার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম। ভাবলাম, প্রথম মাসে গিয়েই তো বেতন পাব, শোধ করে দিতে পারব’, বলেন আহমেদ।
‘শ্রমিক বিক্রি’ করে রোমানিয়ার কোম্পানি
শুধু অতিরিক্ত অর্থ চাওয়ার দুর্ভোগ নয়, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
রোমানিয়ায় পৌঁছালে আহমেদসহ ৭৪ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী বুখারেস্ট থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর সিবিউতে এরপর সেখানে তাদের কাজ না দিয়ে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয় অন্য কোম্পানির কাছে, এমনটা দাবি অভিবাসী শ্রমিকদের।
অন্যান্য শ্রমিকদের মতো এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়া থেকে বাদ যাননি আহমেদও। পৌঁছানোর কয়েকদিন পর তাকে একটি ইতালি মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও গাড়ি ধোয়া ও বাগান পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে মাল ওঠানো-নামানোসহ অন্যান্য অনেক কাজ করানো হয় তাকে দিয়ে।
আহমেদ বলেন, ‘ওরা একদিন আমাদের বলল টয়লেট পরিষ্কার করতে। আমরা তখন প্রতিবাদ করে বললাম, এটা তো ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ না৷ এর জন্য আলাদা লোক আছে৷ পরে জানতে পারলাম আমরা যাওয়ার পর ওরা ওদের ক্লিনার ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজে আসতে না করে দিয়েছে৷’
এভাবে কাজ করতে করতে মাসখানেক চলে যায়। কোম্পানির বাকি সবাইকে দিলেও তখনো তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছিল না। আহমেদ বলেন, সুপারভাইজারের কাছে অভিযোগ দিলে আমাদের বলা হয়, তোমরা তো আমাদের লোক না৷ তোমাদের আমরা বেতন দেব না৷ যে কোম্পানি তোমাদের এদেশে নিয়ে এসেছে, তারা তোমাদের বেতন দেবে৷ ওরা তোমাদেরকে আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে৷ এখন তোমরা আমাদের চাকর৷ আমরা যা বলব, সে কাজই করবে৷’
মূল কোম্পানি অর্থাৎ রোমানিয়ান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানতে পারেন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আদৌ ফ্রি ছিলনা। এসব খরচ প্রতিশ্রুত বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। অর্থাৎ ‘থাকা-খাওয়ার’ খরচটাই ছিল বেতন!
ভালো কাজের টোপ ফেলে কম্বোডিয়ায় যেভাবে দাস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে বাংলাদেশিদের
প্রতিশ্রুতি-বাস্তবতায় অবাস্তব ফারাক
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির একটি শর্ত ছিল, ‘চুক্তিপত্রের কোনো শর্তের লঙ্ঘন হবে না, অনুমোদিত কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে অবশ্যই চাকুরি পাবে এবং প্রত্যেক কর্মীকে প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।’ কিন্তু বাস্তবতা কেমন?
শোচনীয় অবস্থা শ্রমিকদের
রাজধানী বুখারেস্ট থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের শহর ওল্ট-এ থাকেন আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক জাহাঙ্গীর (ছদ্মনাম)। তার পরিণামও আহমেদের মতোই।
জাহাঙ্গীর ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানান, তাকে যে পরিস্থিতিতে থাকতে এবং কাজ করতে হচ্ছে সেটি ‘পাশবিক’।
করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আট ঘণ্টার কথা বলে এখন কাজ করান হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা। এমন জায়গায় থাকতে দেওয়া হয়েছে যেখানে ১৪ জন মানুষের জন্য মাত্র একটা ওয়াশরুম। সবাই একই সময়ে ঘুম থেকে উঠলে সময়মতো কাজে যাওয়াই সম্ভব হয় না৷ কোনো রান্নাঘর নেই৷ প্রথম এক মাস তারা কোনো বেতন দেয়নি৷ যে কোম্পানিতে এখন আছি, সেই কোম্পানিও এক মাস বেতন দেবে না।’
কিছু অভিবাসী শ্রমিক নিজেদের নোংরা পরিবেশে কাজের এবং আবাসনের পরিস্থিতির বেশ কিছু ভিডিও পাঠিয়েছেন ইনফোমাইগ্রেন্টসকে। এসব ভিডিওতে বাংলাদেশের রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেক শ্রমিককে।
ইতোমধ্যে রোমানিয়া আসতেই তাদের কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। রোমানিয়ায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য তাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে আরও বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু অনেকে এখন পর্যন্ত সাময়িক বসবাসের অনুমতিও (টিআরসি) পাননি। পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে তাদের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তাদের অবৈধ ঘোষণা করার আশঙ্কাও রয়েছে।
দেশ ছেড়ে বৈধভাবে আসার পরেও এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে অবৈধ পথে অন্যত্র যেতে চেষ্টা করছেন। হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিসামুক্ত এলাকা শেঙ্গেনে অবৈধভাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বলকান রুটের আশ্রয় নিচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার বাংলাদেশি এজেন্সির
অভিবাসী শ্রমিকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করে জানান, অনেক বাংলাদেশি এজেন্সি রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠায়।
এসব এজেন্সির মধ্যে তার কোম্পানি এশিয়া কন্টিনেন্টাল অনেক ভালো কাজ করছে বলে দাবি করে আব্দুস সালাম বলেন, বিদ্বেষবশত অন্যান্য কোম্পানিগুলো ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়াচ্ছে।
এছাড়াও তার দাবি সরকারের নির্ধারিত পরিমাণের বাইরে তার প্রতিষ্ঠান কোনো টাকা নেয়নি। কেউ সাব-কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে অন্য কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে সে বিষয়ে তাদের কিছু করার থাকেনা বলে জানান তিনি।
তবে রোমানিয়ায় কর্মপরিবেশ নিয়ে অভিযোগ এসেছে বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রোমানিয়ান কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান আব্দুস সালাম। এছাড়া তার কোম্পানি প্রয়োজনে শ্রমিকদের আইনি সহায়তা দিয়ে সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
রোমানিয়ান কন্সট্রাকশন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ইনফোমাইগ্রেন্টস-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা যায়নি বলে স্বাধীনভাবে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
দূতাবাস ‘অসহায়’!
বুখারেস্টে বাংলাদেশি দূতাবাসে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও ভয় কাজ করে শ্রমিকদের।
রোমানিয়ায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী জানান, তারা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে অবগত হলেও লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ না আসায় তাদের কিছু করার থাকছেনা।
তিনি বলেন, “তাদের (শ্রমিকদের) অনেকে আমাদের বলেন, ‘আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।’ কিন্তু কে করেছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলছে, ‘বললে বিপদ হবে।’ আমরা সমাধান খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন শ্রমিকও কোনো রিক্রুটমেন্ট এজেন্টের নাম নিতে চায়নি।'”
দূতাবাস নিজে থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা জিজ্ঞেস করলে দাউদ আলী জানান, ‘বাংলাদেশে সম্ভবত ১,৬০০-এর কাছাকাছি নিবন্ধিত এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোই তো খারাপ নয়। আমরা যদি সঠিক তথ্য না পাই, কার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব? কার বিরুদ্ধে আমি সরকারের কাছে লিখব যে এই রেজিস্টার্ড এজেন্ট শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে?’
বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত শর্তানুযায়ী অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতিটি দল রোমানিয়ায় পৌঁছানোর পর রিক্রুইয়মেন্ট এজেন্সির এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি এবং রোমানিয়া দূতাবাসে প্রতিবেদন জমাদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো এজেন্সিই তা মানে না বলেও জানান রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী।