টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়ার (২৪) বিরুদ্ধে এক নববধূ (১৯)কে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আজ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করা হয়। সাকিব মিয়া পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার মনু মিয়ার ছেলে এবং ওই গৃহবধূ একই এলাকার বিদেশগামী যুবকের স্ত্রী। অভিযুক্ত সাকিব ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার শাহেদ ও সাইদুলকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী এবং অভিযুক্ত সাকিব প্রতিবেশী ও আত্মীয়। সেই সুবাদে ওই বাড়িতে সাকিব প্রায়ই যাতায়াত করতো। তিন মাস পূর্বে বিয়ের পর থেকেই সাকিব ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতো। গত রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে সাকিব তার এক আত্মীয়ের অসুস্থতার কথা বলে গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে তুলে এবং মোটরবাইক ধার চায়। ঘর থেকে বাইকটি বের করে পাশের উঠানে নিয়ে গেলে একই এলাকার জুয়েল মিয়ার ছেলে শাহেদ ও মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে সাইদুল বাইক স্টার্ট হচ্ছে না বলে যুবককে ব্যস্ত রাখে। সাকিব এই সুযোগে ঘরে গিয়ে গৃহবধূকে জাপটে ধরে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে এবং ধর্ষণ করে।
ওই গৃহবধূর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কিছুক্ষণ পর তার মুখের ওড়না খুলে যায়। এ সময় তার চিৎকারে গৃহবধূর স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে সাকিবকে আটক করে। সাকিবের অপর দুই বন্ধু মুহূর্তের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে। এ ঘটনা বাইরে জানাজানি করলে সাকিব গৃহবধূর পরিবারকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। মামলার বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়েছে এ ঘটনায় গৃহবধূ ও তার স্বামী বাসাইল থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে ফোন করেছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালে আমি পদক্ষেপ নেবো। বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এমন কোনো ঘটনার অভিযোগ করার জন্য থানায় কেউ আসেনি। সাকিব মিয়ার বাবা মনু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সাকিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহার করা নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ