রাজনীতি

আন্দোলন ডাইভার্ট করতে আওয়ামী লীগ নেতারা সংলাপের কথা বলছেন: ফখরুল ইসলাম

  প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২৩ , ৮:৫৭:৫৫

শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতিকে ডাইভার্ট করতে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা সংলাপের কথা ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো আমাদের মূল দাবিতে থেকে মনোযোগ ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া, আর বিদ্যুতের সমস্যার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ -ইউট্যাব আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। বিদ্যুৎ থেকে দৃষ্টি সরাতে। তাই আমীর হোসেন আমুসহ অন্যদের সংলাপের বক্তব্য সামনে এসেছে। লক্ষ্য ডাইভার্ট করতে এই ইস্যু তৈরি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন তত্ত্বাবধায়ক দিন পরে দেখা যাবে কি করতে হবে।

তিনি বলেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয় কিন্তু সেটি যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে দাবি আদায় করতে হবে।

 

 

দরকার হলে রাজপথে নামতে হবে।
তিনি বলেন, একটি দল আরেকটি দলকে বিশ্বাস করে না। কেউ এসে কিছু করতে পারেনি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছে অথচ এখন কেন এই অবস্থা। সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। টাকাগুলো গেল কোথায়, কেন কয়লা আনতে পারেন না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন সরকারের টাকা নাই ডলারও নাই বলে সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, যে দলটি গণতন্ত্রের কথা বলেছে স্বাধীনতার কথা বলেছে তারা গণতন্ত্র হরণ করেছে। একে একে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। ভাষা প্রকাশ মতপ্রকাশে উগ্র তারা। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করে, তাদের কোন কিছুই গণতান্ত্রিক না। তবে বিএনপি এই ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী না। সকলে এক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নেতা মওলানা ভাসানীকে দল থেকে বের করে দিয়েছে, স্পিকার শাহেদ আলীকে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের ভেতর পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা এখনও এগুলোই করছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের সংকট হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকা। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয় তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, আজকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সংকট, সংঘাত শুরু হলো।

তিনি বলেন, আমরা আজকে সবাই একটু সাহস করে দাঁড়াই, না হয় আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ যেভাবে জাতীয়বাদী শক্তির উন্মেষ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচার টিকবে না। আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আর কিন্তু বেশি দিন নাই, শেখ হাসিনার কথা অসংলগ্ন। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের যাবে না বলে দিয়েছে তাকে চলে যেতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসন আর থাকবে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content