রাজনীতি

খালেদা জিয়া সুস্থ বললে জেলখানায় যেতে হবে-আইনমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২৩ , ৯:২৬:১৩

শেয়ার করুন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন’ এমন একটি গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মহলে প্রচারিত হচ্ছে। তবে এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ফাইল আইন বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়নি। খালেদার সাজা যে শর্তে স্থগিত আছে সেই শর্তেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি।

রোববার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্সে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই গুজব শুনেছি যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির ফাইল নাকি আইন মন্ত্রণালয়ে চলে এসেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, আমার মন্ত্রণালয়ে এ রকম কোনো ফাইল আসেনি এবং আমি এটাও বলতে পারি, এ রকম কোনো ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উঠেছে তার ব্যাপারেও আমি জানি না।’

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর (১) উপবিধি অনুযায়ী তার শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। তার অসুস্থতা যখনই গুরুতর হয়েছে, তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে আবার বাসায় ফিরেছেন। তাতে প্রমাণ করে যে, প্রথম কথা হচ্ছে তিনি অসুস্থ এবং দ্বিতীয় কথা হচ্ছে বাংলাদেশে তার সুচিকিৎসা হওয়ার মতো ব্যবস্থা আছে। আর এই আদেশে কোনো পরিবর্তন করার কথা আমি জানি না।’

কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনি শর্তসাপেক্ষে মুক্ত আছেন। কী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তার পেছনে তো একটা ইতিহাস আছে। তার ভাই আবেদন করেন যে, তার বোন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে যে দুর্নীতির মামলায় সাজা দেওয়া হয় সেই সাজা স্থগিত রেখে প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) উপধারায় শর্তযুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন তিনি যদি বলেন, তিনি সুস্থ, তাহলে তার যে সাজা সেটা খাটার জন্য তাকে জেলখানায় যেতে হবে। এটা স্বাভাবিক। যে মুহূর্তে তিনি বলবেন যে তিনি সুস্থ, তার আর অসুস্থতার আবেদন আর থাকবে না। এখন যে তিনি মুক্ত সেটার প্রমাণ হচ্ছে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যে যান, সরকারের অনুমতি নিয়ে তাকে যেতে হয় না।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। দেশে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। গত মার্চে সবশেষ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content