প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ৪:১১:০৩
জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ভূমি অফিস এখন ঘুষের পরিণত হয়েছে। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ভূমি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা পেতে দিতে হয় মোটা অংকের ঘূষ। ঘূষ বানিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িত ওই ভূমি অফিসের সহকারী শহিদুল ইসলাম। অনুসন্ধানী তথ্যমতে, ঝিনাইদহ জেলা সদরের হরিশংকর ইউনিয়নের মোট আয়তন ২৬.৯৮ বর্গমাইল। ২০০১ইং এর আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৭,৪১৭জন। এমনকি ইউনিয়নে মোট গ্রামের সংখ্যা ২২ টি এবং মৌজার সংখ্যা ২১ টি। আর এই জনবহুল গ্রামের ২১ টি মৌজার ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা হরিশংকর ভূমি অফিস থেকেই নিশ্চিত করা হয়।
কিন্তু অফিস সহায়ক শহিদুল ইসলাম জমির সকল কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সঠিক তথ্যে পেলেও কাজ করে নিতে দিতে হয় মোটা অর্থ। দীর্ঘদিনের এমন কর্মকান্ড নিয়ে অনেকেই চাপ থাকলেও খোস মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন।
জমির দাখিলা দিতে গিয়ে শহিদুলের হয়রানির স্বীকার পাইকপাড়া গ্রামের আক্কাস মালিথা গণমাধ্যমকে জানান, তার জমির কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকা শর্তেও হরিশংকরপুর ভূমি অফিসের সহায়ক শহিদুল তার কাছে অবৈধ অর্থ দাবি করে। না দেওয়ায় দীর্ঘদিন তাকে বেগ পেতে হয়েছে।
এমনি ভুক্তভোগী হরিশংকরপুর ইউনিয়নের আর্য নারায়ণপুর গ্রামের মোঃ রাশেদ মন্ডল সেও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের তীর ছুড়ে দিয়ে বলেন,একটা ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি অফিসে এভাবে ঘুষ লেনদেন হয় তা জানা ছিল না। আমরা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ অল্প স্বল্প জমিজমা নিয়ে সামান্য খাজনা, খারিজ ও দাখিলা করতে আসি এই অফিসে কিন্তু একজন অফিস সহায়কের ঘুষ বানিজ্যের জন্য এতো ভোগান্তি পোহাতে হয়। এগুলো থামানোর কি কেউ নেই?
সংবাদ সংগ্রহের কাজে তথ্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন ভুমি অফিসের এই শহিদুল ইসলাম চাকরির পরে গড়েছে সম্পদও।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর উপজেলাধীন হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের এই ঘুষখোর অফিস সহায়ক শহিদুলের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও ইউনিয়নবাসী।