বিনোদন

যে নাটকের জন্য হয়েছিল আন্দোলন মানববন্ধন!

  প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৩ , ৪:৪৬:০৬

শেয়ার করুন

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রযোজক বরকতউল্লাহকে ফোন করে অনুরোধ করলেন – হুমায়ূন আহমেদকে বলুন, নাটকের শেষে বাকেরকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা..বরকতউল্লাহ ফোন দিলেন হুমায়ুন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদ রাজি হলেন না। তিনি স্বাধীনচেতা লেখক। তিনি স্ক্রিপ্টে যা ভেবে রেখেছেন সেটাই করবেন। জনগণের আন্দোলন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে গ্রাহ্য করার লোক তিনি না। আজ, এই ২০২৩ সালে দাড়িয়ে কল্পনা করুন বাংলাদেশের সিনেমাতেও কি বাকের ভাইকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোন শক্তিশালী চরিত্র তৈরী হয়েছে? আমার অন্তত জানা নেই।নাটকের শেষদিকে যখন মিথ্যে মামলায় বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবার একটা সম্ভাবনা দেখা দিলো, তখনই সবচেয়ে অভূতপূর্ব ঘটনা টা ঘটলো। প্রিয় চরিত্রের ফাঁ*সি হয়ে যাবে এটা মেনে নিতে না পেরে রাস্তায় নেমে এলো সাধারণ মানুষ। হুমায়ুন আহমেদের বাড়িতে পাঠানো হলো উড়ো চিঠি, প্রেসক্লাবের সামনে হলো মানববন্ধন। ঢাকার বাইরেও মিছিল বের হলো, স্লোগান উঠলো – ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁ*সি কেনো, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই’, ‘বাকের ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে..’ ২১ সেপ্টেম্বরে সারা বাংলাদেশ কেঁদেছিলো। শোক মিছিল বের হলো সারা বাংলাদেশে। বাকের ভাইয়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বদির বাড়িতে হামলা করলো সাধারণ জনতা। বদি কে বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখা হলো। নাটকের শেষ দৃশ্যের শ্যুটিংও লুকিয়ে করা হয়েছিলো। একটা নাটক কতটা জনপ্রিয় হলে সাধারণ মানুষ এমনটা করতে পারে। আর এই নাটকে বাকের ভাইয়ের সবচেয়ে পছন্দের বিখ্যাত সেই গান – “হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মোরা লাল দুপাট্টা মাল মাল, কাজ মোরা লাল দুপাট্টা মাল মাল কাহো জি হো জি”
হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট আপনার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র কে?
–•কোথাও কেউ নেই (হুমায়ুন আহমেদ)।
[লেখকঃ-Md Abdullah]


শেয়ার করুন