প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ৭:২৫:০৪
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রসঙ্গ থাকলেও ভারত-বাংলাদেশ-মার্কিন সংম্পর্ক নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। কোনো কোনো মহল মনে করেছিল বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মোদি বাইডেনকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে ও ভিসা সমস্যা নিয়ে মার্কিন নীতি নিয়ে কিছু বলতে পারেন। কিন্তু, বাস্তবে বিশেষ কোনো আলোচনা হয়নি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ এস এম মুনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, মোদি-বাইডেন বৈঠকের এজেন্ডায় বাংলাদেশ ছিলো না।
এদিন ক্যাপিটাল হিলে তার ভাষণে মোদি বলেন, চীনকে মনে রাখতে হবে বিশ্বের ঐক্যের কথা। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের রাস্তা পরিহার করতে হবে। তিনি ভারতীয় আদর্শ বসুবৈধ কুটুম্বকম এর কথা বিধৃত করেন। দেশ কালের গণ্ডী ছাড়িয়ে ভারত যে করোনার টিকা সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলো তার উল্লেখ করে মোদি বলেন, আমরা সবার জন্যে কাজ করি।
এদিকে স্যার উইন্সটন চারচিল এবং নেলসন ম্যান্ডেলার পর তৃতীয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাপিটাল হিলে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় একবার এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর সময় দ্বিতীয়বার। লস এঞ্জেলস টাইমস লিখছে যে, মোদি মার্কিন কংগ্রেসে ঢোকার সময় মোদি… মোদি ধ্বনিতে মুখরিত হয় চারদিক।
মোদি তার ভাষণে ভারতীয় গণতন্ত্র, টিকাকরণ, মঙ্গল অভিযান, অর্থনীতি, ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রতিরক্ষার দিকটি তুলে ধরেন। মোদি বলেন, ভারতে আমাদের একুশটি সরকারি ভাষা কিন্তু, আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি এক ভাষাতেই। দেশে আড়াইহাজার রাজনৈতিক দল আছে কিন্তু, মানসিকতায় সবাই এক।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে রসিকতা করলেও চীন-পাকিস্তান সম্পর্কে কঠোর মানসিকতা দেখান মোদি।