বুধবার (২১ জুন) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা তার দ্বারা হবে না জানিয়ে তিনি এটাও বলেছেন, এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।
এর আগে গত সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, আমাদের এখন ভাবার সময় এসেছে আমেরিকার হঠাৎ এই অতি উৎসাহের হেতু কী? গণতন্ত্র নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ! তারও আগে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে ‘রেজিম চেঞ্জ’ কৌশলের অংশ উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি দাবি করেছিলেন, তারা সেন্টমার্টিন চায়, কোয়াডে (কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) বাংলাদেশকে চায়। বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সব কিছু করছে।
মেননের ওই বক্তব্যের পর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস মানবজমিনকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিল, বাংলাদেশের কোনো ভূখন্ডের ওপরই কোনো দাবি করে নি যুক্তরাষ্ট্র। এমন প্রতিক্রিয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফের বিষয়টির অবতারণা করলে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার মানবজমিনের কাছে নিজ দেশের আগের অবস্থান ধরে রেখে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ শক্তিশালী এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব বজায় রাখে। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। দেশটির কোনো ভূখণ্ডের ওপর আমরা কোনো দাবি করিনি। অবাধ, মুক্ত, উন্নত ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্য দিই এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সহ গণতন্ত্রের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ককে জোরদার করার চেষ্টা করি।’
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ