রাজনীতি

ভোটকেন্দ্রে বসলো ২ হাজার সিসিক্যামেরা, ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

  প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২৩ , ৫:০৮:০৮

শেয়ার করুন

১২ই জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতায় কোনো কমতি রাখেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে শনিবার মধ্যরাত থেকেই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পাশাপাশি মহানগরী এলাকায় বহিরাগতদের না থাকার ঘোষণাও দিয়েছে প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। সিটি নির্বাচনে এ বছর ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে তার ভোট প্রদান করবেন। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সিটি করপোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি।

১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দু’জন বিজয়ী হয়েছেন। ২৯টি ওয়ার্ডে শুধু কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন।
নির্বাচনী এলাকায় ১১ই জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরদিন ১২ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপভ্যান, কার এবং ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি সেবা যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content