আওয়ামিলীগ

আ.লীগ নেতাকে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৩ , ৩:৪৪:২৯

শেয়ার করুন

 

 

 

 

কিশোরগঞ্জের চরশোলাকিয়া এলাকার ব্যাপারী বাড়ির পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমানের (৬২) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহতের বড় ছেলে আসিফুর রহমান শাহীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাদল রহমানকে অজ্ঞাতস্থানে শ্বাসরুদ্ধ করে বা অন্য কোনোভাবে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার লক্ষ্যে শহরের চরশোলাকিয়া ব্যাপারী বাড়ির পুকুরের পানিতে ফেলে রাখে।

 

 

এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড বাদল রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মেডিকেল বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন- ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আকবর এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ইমতিয়াজ।

ময়নাতদন্তের পর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. মাকসুদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পানিতে ডুবে বাদল রহমানের মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি সন্দেহজনক মৃত্যু। তাই পরীক্ষার জন্য ভিসেরা নমুনা মহাখালীতে পাঠানো হবে। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদল রহমানের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আসিফুর রহমান শাহীল একজন ব্যবসায়ী। ছোট ছেলে আবিদুর রহমান নাবিল (২৪) পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুই বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই মাস আগে বাদল রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর থেকে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আহমেদকে (৩৮) নিয়ে শহরের খড়মপট্টি সরকারি পুকুরপাড় সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।

 

দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করার সময় বাদল রহমান মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদল রহমান ভাড়া বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে যান। পরে রোববার সকালে শহরের চরশোলাকিয়া ব্যাপারী বাড়ির পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থান তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরিহিত গেঞ্জির বুক পকেট হতে তার ব্যবহৃত চশমা, প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ডসহ মানিব্যাগ এবং প্যান্টের সামনের পকেট থেকে তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ জানান, নিহত বাদল রহমানের ছেলে আসিফুর রহমান শাহীল বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তদন্ত করছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content