প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২৩ , ৯:২৭:১৩
শিগগিরই ঢাকায় বড় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের সূচনা করতে চায় বিএনপি। এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোর সঙ্গেও চলছে আলোচনা। এক দফার আন্দোলন ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দিতে চায় বিএনপি। ঢাকায় বড় সমাবেশ করে সেখান থেকে এই ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন আন্দোলনে থাকা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। সোমবার বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা। বৈঠকে যুগপৎভাবে একদফা আন্দোলন ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিএনপি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন এক দফার আন্দোলন ঘোষণা দিবে বিএনপি।
বৈঠকে দিনক্ষণ ঠিক না হলেও ১৫ই জুলাইয়ের আগে এই ঘোষণা দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। এনিয়ে আগামী কয়েকদিন আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিবে দলটি।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তার আগেই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটাতে হবে। এতদিন আমরা একটা উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন সময় এসেছে। চলতি মাসেই এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। তিনি বলেন, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যৌথ রূপরেখা নিয়ে মীমাংসা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ইশতেহারের ‘যৌথ রূপরেখা’ ঘোষণা করা হবে। সেখান থেকে কর্মসূচিও ঘোষণা হতে পারে। এরপর ঢাকায় বড় কর্মসূচির ডাক দিয়ে সেখানে এক দফা’র আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে। তবে সামনের প্রত্যেকটি কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি থেকেও হঠাৎ কঠোর আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।
দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের আরেক নেতা বলেন, গত সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে এক দফার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনই প্রকাশ হচ্ছে না। নতুন কর্মসূচিও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে। শিগগিরই তা হবে। আন্দোলনে যাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন নেতারা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি’র সাম্প্রতিক টানাপড়েন নিয়ে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য উপস্থাপন করলেও তা নিয়ে আর আলোচনা হয়নি। এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যৌথ রূপরেখা নিয়ে আজ বৈঠক করবে বিএনপি। সেখানে যৌথ রূপরেখা ঘোষণার দিনক্ষণ নির্ধারণ হওয়ার কথা রয়েছে।