প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৩ , ১১:৪৯:৩৯
বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের চোখ নয়াপল্টনে। এদিনের সমাবেশ থেকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেবে। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে। বুধবার বিএনপি’র সমমনা দলগুলোও কর্মসূচি পালন করবে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের পক্ষ থেকে একযোগে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।
এদিন কী ঘোষণা আসছে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতুহল। বিরোধী নেতাকর্মীদেরও আগ্রহ ওই দিনের ঘোষণা নিয়ে। বুধবার যে ঘোষণা আসবে তার ওপর ভিত্তি করেই চলবে দলগুলোর পরবর্তী কর্মসূচি।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আজ রাতের মধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১২ই জুলাই ঢাকার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে সরকার পতন আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে এদিন সমাবেশ করবে। সমাবেশ থেকে নতুন মাত্রার আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
এদিকে আগামীকাল ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে চায় দলটির নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে চলছে জোর প্রস্তুতি। নয়াপল্টনে চলছে রুদ্ধদ্ধার বৈঠক। বিএনপি ও তার সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন শীর্ষ নেতারা। সমাবেশে উপস্থিতি বাড়াতেও দিচ্ছেন ‘বিশেষ বার্তা’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মৌখিক অনুমতি মেলায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় বাড়ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। সমাবেশ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছে বিএনপি। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন নেতারা।
সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গতকাল নয়াপল্টনে প্রস্তুতি সভা করেছেন ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ প্রায় সবগুলো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন জমজমাট ও সরগরম। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতারা দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভাও সম্পন্ন করেছেন।
সমাবেশের আয়োজকরা বলছেন, আগামীকালের সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। অতীতের সমাবেশগুলোর চেয়ে বুধবারের সামাবেশে কিছুটা ভিন্নতা আসবে। রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেবেন। সমাবেশ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। গতকাল দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাইকিং করা হয়েছে। আজও মাইকে প্রচার করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশের পাশাপাশি শ্রমিক দল, কৃষক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল ও জাসাসের উদ্যোগে ‘শ্রমজীবী মানুষের জাগরণ’ শীর্ষক কর্মসূচি রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সমাবেশ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামীকাল নয়াপল্টনে ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।
গতকাল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান হক কথাকে বলেন, ১২ই জুলাইয়ের সমাবেশের দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে।