রাজনীতি

খালেদা ও জামায়াত-হেফাজত নেতাদের মুক্তি দাবি গণঅধিকার পরিষদের

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৩ , ৪:০৪:১০

শেয়ার করুন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেছে ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ ও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। জনগণ হিসেবে আমরা ভোট দিইনি। আমরা বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন করছি, তারা তুলনামূলক ভালো। বাংলাদেশে দুই বার বহুদলীয় গণতন্ত্র নষ্ট করা হয়েছে। একবার শেখ মুজিব করেছেন, আরেকবার করেছে শেখ হাসিনা। বিএনপি দুই বারই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান তার উদারতা দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিয়েছিলেন। তারা আসলে সেজন্য উপযোগী নয়। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। হিরো আলমের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’

ড. রেজা কিবরিয়া তার দলের কর্মীদের তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত আমাদের যুগপৎভাবে কাজ করে যেতে হবে।’

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা মজলুমদের পক্ষের দল, আমরা জালিমদের পক্ষ নিতে পারি না। আমরা তাই ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে থাকব। আমরা দেশের ও দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে দল হিসেবে সোচ্চার ভূমিকা রাখব।’

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের গণঅধিকার পরিষদের তিন দফা আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে একটি হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের দুই নাম্বার স্পষ্ট দাবি হচ্ছে- বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আমাদের তিন নম্বর দাবি আমরা সবসময় মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বাদ দিয়েছে,যা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এই নেতা বলেন, ‘বিএনপিসহ ৩৭টি বিরোধী দল শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা এই সমাবেশে যুক্ত হয়েছি।’

যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক ফরাজী, যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসিন, মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারী, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, সহকারী আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অ্যাড. শিরিন আক্তার শেলী, ডা. আজাদ আরী সুমন, শাহাবুদ্দিন শুভ, যুব নেতা শামীম রেজা, শ্রমিক নেতা আবদুন নুর তালুকদার প্রমুখ।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content