সারাদেশ

ঘুস দিয়ে থানা থেকে মেয়ের মরদেহ নিলেন দরিদ্র বাবা

  প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ১:২০:৫৩

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি:-কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধূ সোনিয়া আক্তারের (২৮) ময়নাতদন্তের পর পুলিশকে ২০ হাজার টাকা ঘুস দিয়ে মরদেহ নিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা মো. আক্তার হোসেন। শনিবার (১৫ জুলাই) ভৈরব বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

 

আক্তার হোসেন বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমি বিশ্বাস করি না। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার জামাই তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। আমি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে সই রেখে অপমৃত্যু মামলা করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ থানায় আনা হয়।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমি মরদেহ আনতে গেলে থানার এসআই মাজাহার মরদেহ পরিবহনসহ অন্য খরচ বাবদ আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করে। আমি গরিব মানুষ, টাকা দিতে পারব না বললে পুলিশ আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে আমি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে ২০ হাজার টাকা ঘুস দেওয়ার পর এসআই মাজাহার মরদেহ হস্তান্তর করে।

তবে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজাহার হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আক্তার মিয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তার কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তর বাবদ কোনো টাকা নিইনি।

 

অপমৃত্যু মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাদী নিজে সই দিয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এখন কী কারণে অস্বীকার করছেন তা আমি জানি না। তিনি হত্যা মামলার বিষয়ে থানার ওসিকে বা আমাকে কিছুই বলেননি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ২০ হাজার টাকা দিয়ে মরদেহ নিতে হয়েছে এমন অভিযোগ আক্তার মিয়া আমার কাছে করেননি। অভিযোগ পেলে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতাম। আর মরদেহ নিতে এলে পুলিশ কেন টাকা দাবি করবে? লিখিত অভিযোগ পেলে আমি ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরও বলেন, আক্তার হোসেন নিজেই অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এখন কার পরামর্শে বা কী কারণে এসব অভিযোগ করছেন তা আমি জানি না।

জানা গেছে, গত ৮ জুলাই সকালে ভৈরবের কালিপুর গ্রামে স্বামী আরমান মিয়ার বাড়ি থেকে গৃহবধূ সোনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন বিকেলে ভৈরব থানায় আনা হলে নিহতের বাবা মরদেহ আনতে থানায় যান। সেখানে তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content