রাজনীতি

জামায়াতের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ আহত ১২, আটক ১৫

  প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২৩ , ৪:০৫:৫৬

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াতের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের দুই সদস্যসহ ১২ জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জামায়াতকর্মীরা এ সময় পুলিশের একটা গাড়িও ভাঙচুর করেছে। গতকাল জুমার নামাজের পর নগরের ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করে।

শুক্রবার দু’টায় নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে জামায়াত সমাবেশের আহ্বান করে। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর আগ্রাবাদের বাদামতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

পরে পুলিশ এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০-১২ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অনুমতি ছাড়াই হঠাৎ আগ্রাবাদ মোড়ে মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুকুল চাকমাসহ ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।

এদিকে সংঘর্ষের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়ে মূলত: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এটা কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ সরকারের আমলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হয়নি। গত ১৭ই জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সরকারের আচরণ প্রমাণ করেছে- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। বিক্ষোভ মিছিল-উত্তর সমাবেশে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শিকদার, মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content