প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ৩:২৯:১২
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মিতু বেগম। তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। এক সময়ে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করে এখন মিনি গার্মেন্টস গড়ে তোলেছেন। আগামী ২৮ জুলাই আলোচিত এ প্রতিষ্ঠানে আসার কথা রয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। তার আগমন উপলক্ষে মিতুর কারখানা পরিদর্শন করলেন ইউএনও।
সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় সূজিত পণ্য ভিত্তিক পল্লী পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ী গ্রামে অবস্থিত সফল নারী উদ্যাক্তা মিতুর নুনিয়াগাড়ী এমব্রয়ডারি পল্লী সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও কামরুল হাসান রিহান। একই সঙ্গে পরিদর্শন করেন নুনিয়াগাড়ী এমব্রয়ডারি পল্লী, উদয়সাগর নকশিকাঁথা পল্লী ও বরিশালের ব্যাগ পল্লীও। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।
নারী উদ্যাক্তা মিতুর ওই মিনি গার্মেন্টসে নারীদের নিপুণ হাতের হস্ত শিল্পের কাজ দেখে অভিভূত হন ইউএনও। এসময় তিনি বলেন, আমাদের নারীরা আর বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি তারাও আজ স্বাবলম্বি। উপজেলা বিআরডিবির প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানকার মিতুসহ অন্যান্য নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সুফলভোগীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই শিল্পকে জনপ্রিয় করার মধ্যে দিয়ে এর বিকাশ সম্ভব হবে। সেইসাথে নারীর ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নের পথ প্রস্থ হবে।
সফল উদ্যাক্তা মিতু বেগম জানান, গত ২০০৯ সালে প্রথম একটি সেলাই মেশিন নিয়ে কাটিং ও সেলাই, হাতের কাজ, এপ্লিকের কাজ, নকশিকাঁথা, নকশি বেডশীট, বেডশীট, বুটিকের ড্রেস, চাদর, পর্দা, কূশন ও টেবিল ম্যাট তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করতেন। এভাবে যখন যেটার অর্ডার পেতেন সেই কাজ করতে থাকতেন মিতু। এভাবেই কাজ এগিয়ে যেতে থাকে মিতুর ঘরোয়া মিনি কারখানার। এর সঙ্গে দিনদিনে বৃদ্ধি হতে থাকে নারী শ্রমিকের। প্রায় ১৪শ নারী কাজ করেছেন তার প্রতিষ্ঠানে। আর এ কাজগুলো অর্ডার আসে আড়ংসহ দেশের বড় বড় নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে। এই মিনি গার্মেন্টস এর একেকজন নারী শ্রমিক পান মাসে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। এদেরকে প্রশিক্ষণ ও ঋণ দিয়ে তৈরী করেছেন উপজেলা বিআরডিবি।