জাতীয়

ভারত-বাংলাদেশের সংসদকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হয়

  প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২৩ , ২:৩৪:৪৩

শেয়ার করুন

ভারত ও বাংলাদেশের সংসদকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা।

বুধবার (১৯ জুলাই) ওম বিরলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারত সফররত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।

 

স্পিকার ওম বিরলা বলেন, লোকসভা ১৪০ কোটি জনতার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ ও ভারতের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রায় একই। সংসদ জনতার কথা বলে। সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি জনতার বিশ্বাস। উভয় দেশের সংসদকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হয়। প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়িয়ে জনগণকে সেবা দিতে হবে। সংসদ জবাবদিহি করবে জনগণকে। সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে ও জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংসদ সচিবালয়ের ভূমিকা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব বিলের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও কারণ সংসদে আলোচনা হয়ে থাকে, যার সবই জনগণের স্বার্থে। সারাবিশ্বেই এই চর্চা হওয়া উচিত।

স্পিকার ওম বলেন, ভারতের সংসদের নিয়ম-কানুন, রীতিনীতি-সংবিধান, কার্যপ্রণালি বিধি সবার জানা দরকার। সচিবালয়ের কাজ হলো সংসদ-সদস্যগণকে সংবিধান ও স্পিকারের নির্দেশনা জানানো। ভারতের লোকসভাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সংসদীয় সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময় খুবই ফলপ্রসূ হতে পারে।

সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক মহান উচ্চতায়। পার্লামেন্টারি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসিস (প্রাইড) চমৎকার প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে যা ফলপ্রসূ। দুইদেশের এরকম প্রশিক্ষণ বিনিময় সত্যি প্রশংসনীয়।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদ সচিবালয় অনেক উন্নত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট পার্লামেন্ট তৈরির কার্যক্রম চলমান।

আব্দুস সালাম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে প্রতিবছর ৩০ জন কর্মকর্তা লোকসভায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকে, যা সত্যি অভূতপূর্ব। এসময় তারা সংসদীয় রীতি-নীতি, সংসদীয় চর্চা, সরকার পরিচালনা পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন।

এসময় স্পিকার ওম বিরলাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান সিনিয়র সচিব। এর আগে লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে তার লোকসভার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।

পাশাপাশি ওম বিরলা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সালেহ উদ্দিন, এম এ কামাল বিল্লাহ, যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content