আন্তর্জাতিক

৪ দিনের চীন সফরে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কেরি

  প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৩ , ৬:১৬:৪০

শেয়ার করুন

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চীন পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। উত্তর গোলার্ধ যখন রেকর্ড তাপমাত্রায় পুড়ছে কয়েক সপ্তাহ ধরে, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে- ঠিক সে সময়ে এ ইস্যুতে আলোচনা করতে চার দিনের সফরে রোববার চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেন জন কেরি। এরই মধ্যে চীন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তারপরই জন কেরির এই সফরকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মার্কিন সরকারের শীর্ষ মহলের এত ঘন ঘন চীন সফরের উদ্দেশ্য এ দেশটির সঙ্গে তাদের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কমিয়ে আনা। একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে সম্পর্ক নিয়ে যাওয়া। এই দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ, সামরিক উত্তেজনা ও গোয়েন্দাগিরির মতো বিভিন্ন ইস্যুতে সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নি:সরণকারী দেশ দুটি নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

জন কেরির বেইজিং সফর নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি রিপোর্টে বলেছে, জলবায়ু ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র গভীর দৃষ্টি বিনিময় করবে। সোমবারই তা শুরু হচ্ছে।

 

কিভাবে মিথেন নি:সরণ কমানো যায়, কয়লার ব্যবহার কিভাবে সীমিত করা যায়, বন নিধন কমানো যায় এবং দরিদ্র দেশগুলোকে কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানে সহায়তা করা যায়- এসব ইস্যুতে চীনের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সি ঝেনহুয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন কেরি। সি এবং জন কেরির মধ্যে কমপক্ষে ২০ বছরের কূটনৈতিক উষ্ণ সম্পর্ক আছে। নির্ধারিত আলোচনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোলার প্যানেল, ব্যাটারির জিনিসপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস আমদানিতে যে শুল্ক আরোপ করেছে তার বিরুদ্ধে আপত্তির কথা তুলে ধরবে চীন।
এরই মধ্যে দুই দেশই বলেছে, অন্য বিষয়ে অমত থাকলেও তারা জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিনপিসের বেইজিং কর্মকর্তা লি শুও বলেছেন, এই আলোচনাই দেখিয়ে দেয় যে বর্তমান বিশ্বে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে জলবায়ু পরিবর্তনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বজুড়ে যখন সবচেয়ে গরম সময় চলছে, তখন এই আলোচনা শুরু হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কপ২৮ সফলভাবে বাস্তবায়ন ও অনুমোদনের বিষয়ে চীনা কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা দেখাবেন এমনটাই আশা করেন জন কেরি। কপ২৮ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যোগ দেবে প্রায় ২০০ দেশ। সেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও তার ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা হবে এবং এ থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হবে।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content