প্রতিনিধি ৩১ জুলাই ২০২৩ , ২:৫২:২৮
আকাশজুড়ে ঘন কালো মেঘ ও ঝুমবৃষ্টি থাকার কথা থাকলেও নেই বৃষ্টিপাত। প্রতিবছরই এ জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না থাকায় তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। মাঝে মধ্যে মেঘের দেখা মিল্লেও বৃষ্টি হচ্ছে না। এমন বিরূপ আবহাওয়ায় আর পেরে উঠছে না জনজীবন।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানান, গত ৫ বছরে বর্ষার মৌসুম জুন ও জুলাই মাসে এ জেলায় সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এ বছর ২৭০ মিলিমিটার। চলতি বছর জুন মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫৬ মিলিমিটার ও জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৪ মিলিমিটার। ২০২২ সালে এই দুই মাসে এজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭০ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এই দুই মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৯৭ মিলিমিটার। ২০২০ সালে এই দুই মাসে এজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৭৮৪ মিলিমিটার। ২০১৯ সালে এই দুই মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৩১ মিলিমিটার। ২০১৮ সালে এই দু মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৮৫ মিলিমিটার।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় চলতি বর্ষা মৌসুমে বেশ কয়েকদিন তাপপ্রবাহ অতিবাহিত হয়েছে। গত দুদিন ধরেও মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৪ শতাংশ। এছাড়া গতকাল রবিবার এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দশমিক ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, মৌসুমী বায়ুর নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দু-একদিনের ভিতরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বাড়বে। এতে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।