তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দেশে আর আসবে না : খাদ্যমন্ত্রী

এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সম্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীন মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতা দিচ্ছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছায়নি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কৃষকের জন্য সরকার ভর্তুকি মূল্যে সার দিচ্ছেন। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে কৃষকরা তাদের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই দেশে আর দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে এখন মানুষ হাজার গুণ ভালো আছে। শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি জনগণের সমর্থন চায় না। জনগণকে বিশ্বাস করেনা। তারা চেয়ে আছে বিদেশিদের দিকে। বিদেশি প্রভুরা নাকি তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। জনগণ তাদের এ আশা পূরণ হতে দেবে না।

নিয়ামতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান সাগরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুতিউর রহমান বাদশা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে অতিথিদের নিয়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোদদাদ খান পিটু।