প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২৩ , ১:৩৯:০০
জেলা প্রতিনিধি-নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে সেতু। সেতু ভেঙে পড়ার পেছনে নির্মাণকাজে নিম্নমানের পণ্যের ব্যবহার ও দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন এ সেতুটি পরিদর্শন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। সরেজমিনে পরিদর্শন, প্রকৌশলী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অনিয়মের সত্যতা পায় দুদক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
হক কথাকে বলেন, নির্মাণাধীন সেতু ধসে পড়া ও কাজে অবহেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুরের দুদক অফিস থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম এলজিইডি, ভাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে কাউলীবেড়া ইউনিয়নের বৈঠাখালী খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্রিজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা প্রকৌশলী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পায়।
দুদক আরও জানায়, পরিদর্শনকালে দেখা যায় ব্রিজটির গার্ডার ও কলাম নির্মাণ করা হলেও স্ল্যাব বসানো হয়নি ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পাটাতনের নিচে বাঁশের খুঁটি দ্বারা সেন্টারিংয়ের কাজ ভালোভাবে করা হয়নি বলে হঠাৎ পানির চাপে বাঁশের সেন্টারিং ভেঙে পড়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী দুদককে জানান, কাজটি এখনো চলমান আছে এবং চুক্তিপত্রে ২৯/০৬/২০২৩ এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে নতুন করে সময় বৃদ্ধি করা হবে। অভিযান পরিচালনাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এনফোর্সমেন্ট টিম ব্রিজটির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্নকরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছে। পরবর্তীতে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস আগে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নে বৈঠাখালি খালের ওপর ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টেন্ডারমূলে ২৪ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি ধসে পড়ে।