প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ২:৫৭:১৬
পাকিস্তানে মেয়াদ শেষে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচন হবে যথারীতি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। একটি দল যেহেতু অন্য দলের ওপর ভরসা পায় না, তাই ক্ষমতাসীন জোটের শরিকদের মধ্যে এ নিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই আলোচনা, রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়েছে। কাকে বানানো হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, আলোচনায় গুরুত্ব পায় এই ইস্যু।
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে অনলাইন জিও নিউজ বলছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এ বিষয়ে একমত হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বানাতে চায় বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার’কে।
ওদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাতে নিজে থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেজন্য ২০১৭ সালের নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হবে। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, দু’চার দিনের সিদ্ধান্তে একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া যায় না। এর জন্য পথ খুঁজে পাওয়ার পর জনসাধারণের কাছে তা গোপন রাখা হবে না। তিনি বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
ক্ষমতাসীন জোটের বড় দুই দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে একমতে পৌঁছার পর সরকার এখন অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আস্থায় আনার চেষ্টা করছে।
সূত্র আরও বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা আছে ‘এস্টাবলিশমেন্টে’র কাছে। এমন প্রশ্নের জবাবে টিভি সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার বলেন, তাকে নির্বাচিত করা হবে এই দায়িত্বে এটা এখনই বলা খুব অপরিপক্ব ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যা বলছেন তা মাত্র দেখেছি আমি। একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনে করি, নিজে থেকে কোনো পদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত নয়। এর জন্য দৌড়ানো বা তদবিরও করা উচিত নয়। এই পদে কে দায়িত্ব পালন করবেন তা নির্ধারণ করা হবে যথাযথ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তার নাম নিয়ে ঐকমত হয়েছে কিনা। জবাবে ইসহাক দার বলেন, তার রেকর্ড এটাই বলে যে, সব সময়ই তিনি সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে কাজ করেছেন।
ওদিকে পার্লামেন্টের নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্য নিউজকে বলেছেন, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষকে আলাদাভাবে ২০১৭ সালের নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে ‘ইলেকটোরাল রিফর্ম বিল’ প্রস্তাব করা হবে এ সপ্তাহেই। এই সংস্কারের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর ফলে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন আরও শক্তিশালী হবে। এ সংক্রান্ত বিল এ সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে। তারপর বিচার ও আইনমন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মদ আযম নাজির তারার তা জাতীয় পরিষদে উত্থাপন করবেন। সপ্তাহের শেষে সিনেট থেকে এই সংশোধনী পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।