রাজনীতি

আমাদের নেতাকর্মীদের মানসিক চাপে ফেলা হচ্ছে : রিজভী

  প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ৯:১১:২৭

শেয়ার করুন

 

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিতের পর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। এর আগে কোনো নির্বাচন, সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করি না। শেখ হাসিনার অধীনে যেটা হবে সেটা হলো রাতের নির্বাচন।

শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ব্যাংকলনি এলাকায় ঢাকার মহাসমাবেশে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করা মহানগর বিএনপির সদস্য মাহমুদ হোসেনের বাড়িতে এসে নিহতের পরিবারের প্রতি শোক ও সহমর্মিতা প্রকাশ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির নেতাকর্মীরা মানসিক চাপে আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মীকে শারীরিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপে ফেলা হচ্ছে। বাসায় বসে থাকলেও তাদের নামে মামলা হয়। তারা পুলিশী হয়রানির ফলে মানসিকভাবে এতটাই ক্লান্ত যে কখন কে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় ঠিক নেই। আমি আজকে শোকাবহ পরিবারকে সমবেদনা জানাতে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহামুদের বাসায় এসেছি। তিনি গত ২৮ জুলাই বিএনপির মহা সমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে গরমে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিহত মাহমুদের নামে অসংখ্য মামলা ছিল। তিনি দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। দলীয় সব কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয় থাকতেন। তিনি স্লোগান দিতে দিতে ঢাকার সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ধরনের নিবেদিত নেতাকর্মী ঘরে ঘরে আছে বলেই দল এখনও টিকে আছে।

তারেক-জোবয়দার সাজায় বিএনপি দমে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এর আগে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। সর্বশেষ যে নেতা দেশবাসীকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করেছে তার বিরুদ্ধে সাজানো-পাতানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী স্বনামধন্য চিকিৎসক তাকেও পাতানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। কেন এই পাতানো মামলায় সাজা দেওয়া হলো? কারণ তিনি যেন দেশে ফিরতে না পারেন।

 

তবে এসব হযরানি করে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আওয়াজ আমাদের উজ্জীবিত করে। লন্ডন থেকে দেশনায়ক তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করছেন। আজ সারাদেশের জাতীয়তাবাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। এসব সাজা কিংবা নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি করে কোনো লাভ হবে না। এসব করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।

বিচার বিভাগ সরকারের অনুগত উল্লেক করে রিজভী বলেন, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্যই এমন রায় দেওয়া হয়েছে, যা দেশবাসী প্রত্যাখান করেছে। এই সরকার শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকেই নয়, তারা গণমাধ্যমকেও নানানভাবে চাপ দিচ্ছে। জোবায়েদা রহমান একটি বিখ্যাত পরিবারের পূত্রবধূ। শুধুমাত্র তাকে হেয় করার জন্য সরকার এ রায় দিয়েছে। কত মামলা বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে। সাগর-রুনির মামলা নিরানব্বই বার পেছানো হয়েছে। আর এ মামলা বিশ দিন এক মাসের মধ্যে বিচার করে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটাই তো প্রমাণ করে যে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এ রায়গুলো দেওয়া হচ্ছে।

এসময় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেকসহ সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, মহানগর বিএনপির নেতা কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের রহমান জিকু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content