শিক্ষা

কুবি শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ১১:৪৮:১৭

শেয়ার করুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্য ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পুরান ঢাকার ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টায় বাহাদুর শাহ পার্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতি ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির যৌথ অংশগ্রহণে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের অন্তর্নিহিত কারণ হলো তিনি দুর্নীতির পক্ষে ভিসি আব্দুল মঈনের সাফাই গাওয়ার সংবাদ করেছিলেন। কুবি উপাচার্য এখানে দুইটি অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে।

জবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব অপূর্ব চৌধুরী বলেন, একজন উপাচার্য হবেন আন্তরিক, সহানুভূতিশীল ও কথাবার্তায় মার্জিত। তিনি কখনো দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন না। আর সেটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে কাউকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহিষ্কারও করতে পারে না।

কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির (কনকসাস) সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসান শুভ বলেন, মনোয়ার ইকবাল দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে তার লেখনির মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও অনিয়মের সংবাদ তুলে ধরেছে। সম্প্রতি ‘দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে’ শীর্ষক যে প্রতিবেদন ইকবাল করেছে সেখানে যদি কোনো অসঙ্গতি থেকে থাকে তাহলে কুবি উপাচার্যের উচিত ছিল প্রতিবাদলিপি দেওয়া। এভাবে হুট করে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একজন শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বহিষ্কারাদেশ দেওয়া সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা বলেন, দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বক্তব্যটিতে যদি কোনো ভুল তথ্য প্রকাশ করে থাকেন তাহলে উপাচার্য উক্ত মিডিয়া হাউজে প্রতিবাদ লিপি বা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে সরাসরি তার বিরুদ্ধে বহিষ্কার আদেশ করেন, যা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। আমি চাই অতি দ্রুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তার স্বাভাবিক শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হোক, পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হোক।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content