প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৩ , ৩:৪১:০৫
আইসিসির টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অংশগ্রহণে সংস্থাটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতাটির দুটি আসর শেষ হয়েছে। প্রথম আসরে নিউজিল্যান্ড এবং সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ দেশই সব কন্ডিশনে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বলেই দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। চলমান নতুন চক্রের সূচিতেও সেটিরই প্রমাণ মেলে। তবে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে বাংলাদেশসহ সব দেশের সমান অংশগ্রহণে কথা জানিয়েছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইন।
সোমবার (৩১ জুলাই) ওভালে পঞ্চম টেস্ট দিয়ে শেষ হয়েছে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজ। রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিক ইংলিশদের জয়ে সিরিজ ২-২ ড্র হয়েছে। এরপরই টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হন নাসের হুসেইন ও সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
এ সময় তারা টেস্ট ক্রিকেটের প্রসারে সবাই মিলে আরও বেশি পরিশ্রম করার তাগিদ দেন। তাদের মতে, বিশ্বের ‘শীর্ষ তিন দল’ অর্থাৎ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। তবে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে অন্য দেশগুলোর প্রতিও নজর দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন নাসের, ‘টপ-থ্রি, ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দুটিতে তারা সফল হয়েছে। তারা সফল হতে থাকবে। সুতরাং তাদের তিনজনই আপনাকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে বাকিদের দিকেও নজর রাখতে হবে। এটা শুধু টপ থ্রির প্রতিযোগিতা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অংশে তাকান, এটি (টেস্ট) এতটা জীবন্ত নয়। আমরা যা অর্জন করেছি এবং অস্ট্রেলিয়া-ভারত যা অর্জন পেয়েছে তার জন্য আমরা গর্বিত। কিন্তু ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কী অর্জন করেছে, যেখানে বাকিটা নিস্তেজ হয়ে আছে।’
তার বক্তব্যে সমর্থন দিয়েছেন রিকি পন্টিংও। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘প্রতিটি বোর্ড, সংস্থা ও দলেরই এখানে যে স্তরের ক্রিকেট খেলা হয়েছে তা অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আপনি টেস্ট ম্যাচের বিরক্তিকর ড্র দেখতে চান না। টেস্টে বিরক্তিকর ড্র হওয়া উচিত নয়। আমি মনে করি আপনি যদি চারটি ওয়ানডে খেলতে পারেন, তবে আপনি একটি টেস্ট ম্যাচও খেলতে পারবেন। এর ফলে প্রতিটি দল, ক্রিকেটার, ক্যাপ্টেন ও কোচের এটা থেকে শেখার আছে। টেস্ট ক্রিকেটকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করতে তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এবং সঠিক খেলোয়াড় বেছে নিতে পারেন।’