অন-লাইন

প্রবাস জীবন কার কাছে কেমন লাগে!?

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ১২:১৬:০১

শেয়ার করুন

প্রবাস জীবন কার কাছে কেমন লাগে জানা নেই। দূর দেশে থাকি, বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে যাচ্ছি, অর্থ উপার্জন করে দিচ্ছি অথচ শতকরা ৮০% প্রবাসী এখনো ঋণের বোঝা টানতেছে। প্রায় সময় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রবাসীদের সাথে কুশল বিনিময় হয় তখন অনেকে মুখের দিকে তাকালে দেখি হতাশা। নিদারুন এক যন্ত্রণার উপলব্দি হয় আমাদের।

** আচ্ছা, অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতের মাটিতে আমরা কেনো এতো পিছিয়ে? প্রশ্ন জাগেনা কারো….

দেখুন, কুয়েতের ভিসা সোনার হরিণ। যা আগেও ছিলো এখনো আছে আগামীতেও থাকবে। বিশ্বাস করেন ভাই – আমরা উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে / হাইয়ার এডুকেটেড না হয়ে কুয়েতে আসাই কি আমাদের চরম ভুল? নাকি ভাগ্য খারাপ? এমনও কুয়েতের প্রবাসী রয়েছে যাদের সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও ভালো স্থানে চাকুরি পাচ্ছেনা। * এক হচ্ছে আকামা ক্যাটাগরির সমস্যা * দ্বিতীয় হচ্ছে সব ঠিক-ঠাক থাকার পরও কাজ জানা নেই। অর্থাত সমস্যা পারষ্পারিক।

আসলে প্রবাসীদের বোবা কান্না কারো কান অব্দি পৌঁছায়না। এমনকি পাশের বেডের ভাইটির কাছে না। একটা সময় প্রবাসীরা রুমমেটদের সাথে দুঃখ শেয়ার করতো। নিজের মনকে হালকা রাখতো কিন্তু এখন আর তা করেনা কারন কিছু কিছু মানুষ দূর্বলতার সুযোগ নিতে চায়। দুঃখ কষ্ট সবার জীবনেই আসে পার্থক্য শুধু সময়ের। তবে ধারনক্ষমতার বাহিরে কারো দুঃখ না আসুক, যন্ত্রণা না আসুক। এই দোয়া করি সর্বদা।

– কিন্তু আবার যখনি দেখি স্বদেশি মানুষ ভালো পজিশনে আছে ভালো কামাচ্ছে ভালো দিন পার করতেছে সত্যিই গর্ব হয়। আমাদের কুয়েত প্রবাসীদের মধ্যে বহু প্রবীন ব্যক্তিত্বের ব্যবসায়ী রয়েছেন, কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, রয়েছেন আরো উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গরাও। ধরুন এই কুয়েতে আমাদের সব কিছু ঠিক-ঠাকই ছিলো, কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ কাজ, বেতন মোদ্দাকথা সব মিলিয়ে যে যা উপার্জন করে তাই যথেষ্ট। কিন্তু কিছু কিছু কোম্পানির দেশি এবং ভিন দেশি সুপারভাইজার ফোরম্যানদের চাপাচাপিতে অতিষ্ঠ সহজ সরল প্রবাসীদের জীবন।

এককথায় প্রবাসীরা যেনো তাদের কাছে জিম্মী হয়ে আছে। অনেকটা লিবিয়ার গাম ঘরের মতো। না করা যায় প্রতিবাদ, না বলা যায় কারো মুখের উপর কথা। কথা কথায় সফরের ভয় দেখানো, ডিউটি পাল্টিয়ে দেওয়া, ব্যাংক কার্ড নিয়ে নেওয়া, ব্রাক চেঞ্জ করে দেওয়া আসলে যৌক্তিক!

এই প্রবাস এসে অল্প দিনে অনেকেই অনেক কিছু করে ফেলেছে আবার দীর্ঘদিনেও কেউ কিছু করতে পারেনি। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ধৈর্য ধরুন। সফলতার দেখা আপনিও পাবেন। বি-ইজনিল্লাহ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ভাগ্য পরিবর্তন হয় শুধু দোয়ার মাধ্যমে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায় শুধু ভালো কাজের মাধ্যমে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২২৮৯)

✍️ Kawsar Ahmed Bihon


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content