আইন-কানুন

মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৩:৩৫:২৬

শেয়ার করুন

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রণীত ও বহুল সমালোচিত ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ বদলে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস করা হয়েছিল। এখন আবার আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ পাসের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জামায়াত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন আইনের একটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে ওই আইনটি বিল আকারে উত্থাপন করে তা পাস করা হবে। সরকারের এ উদ্যোগ আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়।

জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদপত্রের সঙ্গে সম্পৃক্তদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি ছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করে দেওয়ার। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করা হয় এবং মত প্রকাশের প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। সরকারের উচিত ছিল দেশি ও আন্তর্জাতিক মহলের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মত প্রকাশের পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী আইনটিকে বাতিল করা। কিন্তু তা না করে ওই আইনের কিছু ধারা সংশোধন করে নতুন নাম দিয়ে তা পাস করাতে চাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদেরকে মুক্তি না দিয়ে নতুন আইন করার উদ্যোগের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, এটি কোনো সংশোধিত আইন নয়। বরং এই আইনটি নিবর্তনমূলক আইন হিসেবে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ ধারা সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকছে। নতুন আইন পাস করার পরে মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন আদৌ বন্ধ হবে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও ৬০টি ধারাই থাকছে। এতে ৫টি ধারা জামিন যোগ্য রাখা হয়েছে। আইনের নাম পাল্টানো হলেও আইনের কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ২৯ ধারা বাতিলের দাবি শুরু থেকেই ছিল। ওই আইনের ২৮ ধারা প্রস্তাবিত আইনে বহাল রেখে জামিনযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেউ যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধে আঘাত করে তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

প্রস্তাবিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ পাস করা থেকে বিরত থাকার এবং ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’টি অবিলম্বে বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content