প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২৩ , ৩:৫৩:৩৮
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘বিলিয়ন ডলার হেইস্ট’। ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে এই তথ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইউনিভার্সাল পিকচার্স স্টুডিওর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান হলো-ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট।
ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্টের ওয়েবসাইটে তথ্যচিত্র মুক্তির বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) তথ্যচিত্রটি মুক্তি পেয়েছে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইম ভিডিও, অ্যাপল টিভি অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তথ্যচিত্রটি মুক্তি পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্টের ওয়েবসাইটে। তথ্যচিত্রটি অভিনয় করেছেন- মিশা গ্লেনি, মিক্কো হিপ্পোনেন, কৃষ্ণা দাস, রাকেশ আস্তানা এবং রাফাল রহোজিনস্কিসহ আরও অনেকে।
‘বিলিয়ন ডলার হেইস্ট’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের সেই আলোচিত চুরির আদ্যোপান্ত। যে ঘটনা সেই সময় বাংলাদেশ ব্যাংক তো বটেই, পুরো বিশ্বের ব্যাংকিং ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে বড় ঝাঁকুনি দিয়েছিল। তথ্যচিত্রটিতে পরিচালক গর্ডন দেখিয়েছেন কীভাবে একদল সাইবার সিকিউরিটি হ্যাকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি কিবোর্ডে সামান্য লেখার ত্রুটিতে (টাইপো) কীভাবে আরও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের, সেটি এই তথ্যচিত্রে রয়েছে।
‘বিলিয়ন ডলার হেইস্ট’-এ দেখানো হয়েছে, কীভাবে হ্যাকাররা সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) ব্যবস্থা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল। সুইফট হলো সারা বিশ্বের ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি মেসেজিং নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো একে অপরের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর করে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সেই টাকা রক্ষিত ছিল। সেখান থেকে টাকা চুরি করে ফিলিপাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন।