প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২৩ , ১২:২১:২৩
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। সঠিক ইতিহাস জানলে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে লোক যেত না, জনসমাগম হতো না। সঠিক ইতিহাস না জানায় আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের একাংশ পথভ্রষ্ট, বিপথগামী।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বলেছিলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমি অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই তাকে হত্যা করা হলো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেই আয়োজনে জনসমাগম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ৩১ বছর একটানা পাকিস্তানের যে ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি, বুঝতে দেওয়া হয়নি। কীভাবে দেশটা স্বাধীনতা লাভ করল, সেটা জানতে দেওয়া হয়নি।
বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার প্রতিহিংসায় সেদিন এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছিল উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতাকে যারা সহ্য করতে পারেনি, সেই স্বাধীনতার যারা পরাজিত শক্তি, তারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে একটি প্রতিবিপ্লব সংগঠিত করল। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অপরাধে সেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাত্রিতে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত পূর্ণতা পেয়েছিল।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। তার সন্তান তারেক রহমান আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করেছে। আল্লাহর রহমতে সেটা পারেনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।