সারাদেশ

২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ১:১২:৩৬

শেয়ার করুন

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি-ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রানা প্লাজার সামনে ‌বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আয়োজনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অর্ধশতাধিক পোশাকশ্রমিক এতে অংশ নেন।

ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ ছাড়াও মজুরির ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৬৫ শতাংশ বেসিক ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের চাপের মুখে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বোর্ডের মাত্র দুটি বৈঠক হয়েছে।

সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অঞ্জন দাস পোশাকশ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, মজুরি বৃদ্ধির কথা এলেই মালিকদের অভাব-অভিযোগ, সামর্থ্যের ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনা যায়; যা এবারও মজুরি বোর্ডের বৈঠকে তারা তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা একবারেই ভিন্ন। পোশাক খাতে দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ, এখন ইউরোপীয় বাজারে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। ‌আমরা চাই অবিলম্বে মজুরি বোর্ডে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি বেসিক ৬৫ ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ করা হোক।
শ্রমিকনেতারা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রচলিত-অপ্রচলিত উভয় বাজারে মোট পোশাক রপ্তানি ১০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ৩১ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানির হার পৌঁছেছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারে। এ খাতে নতুন নতুন বাজার, ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা, বিশ্বের নিরাপদতম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইত্যাদি অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য দিক। কিন্তু এ খাত বিশ্ববাজারে এত সুনাম কুড়ালেও দেশে এ খাতের শ্রমিকরা বিশ্বের সবচেয়ে কম মজুরিতে কাজ করে। এখনও আমাদের স্বল্প মজুরির পরিচয় যায়নি।

পোশাক খাতের মালিকদের সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রমিকনেতারা বলেন, সরকার ও মালিকদের যে তথ্য, তাতে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা না দিতে পারার কোনো কারণ আমরা দেখি না।

নেতারা দাবি করেন, মজুরি বোর্ড এমন কৌশল অবলম্বন করে যাতে শ্রমিকের ক্ষতি হয়, লাভ হয় মালিকের। যার নজির বিগত সময়ের বেসিকের হার নির্ধারণের মধ্যে পরিষ্কার। ২০০৬ সাল থেকে মজুরিতে বেসিকের হার কমানো হচ্ছে। ২০১৮ সালে বেসিকের পরিমাণ কমতে কমতে ৫১ শতাংশে ঠেকেছে। এই বেসিক কখনোই গ্রহণযোগ্য না। মজুরির হার কমালে শ্রমিকরা ওভারটাইম, গ্রাচ্যুইটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধাসহ অন্য সব প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

সভা শেষে সংগঠনটি একটি র‍্যালি নিয়ে সাভার রানা প্লাজা এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

মোঃ আব্দুল কাদের/


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content