প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ১১:২৫:৩২
উত্তর ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে গত কয়েকদিনে একাধিকবার মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে। বাকস্বাধীনতার নামে কোরআন অবমাননা করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্বের কোটি কোটি মুসল্লি।
আর কোরআন অবমাননা করায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ডেনমার্ক। দেশটির সরকার জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত কেউ যেন ডেনমার্কে প্রবেশ করতে না পারেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে তারা।
এর আগে সুইডেনও এই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সুইডেনেও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর মতো হীন কাজ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ড্যানিশ বিচারমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ আজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, বর্তমান হুমকির প্রেক্ষিতে, ডেনমার্কে কে প্রবেশ করছে সেটির ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’
গত সপ্তাহে উগ্রডানপন্থি একটি দল ডেনমার্কে পবিত্র কোরআনের ১০টি কপিতে আগুন দিয়ে অবমাননা করে। উগ্র দলটি আরও কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
ডেনমার্ক এবং সুইডেন দুই দেশের সরকারই কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া কোরআন অবমাননাকে অবৈধ করার চিন্তা-ভাবনাও করছে তারা। তবে কিছু উগ্রবাদী দাবি করছেন, এমনটি করা হলে তাদের কথিত বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত করা হবে; যে স্বাধীনতা সংবিধান তাদের দিয়েছে।
ডেনমার্কের সীমান্তে এই কড়াকড়ি আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এরমাধ্যমে আকাশ বা স্থলপথে আসা যাত্রীদের আরও কড়াকড়ির মধ্যে দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে।
ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, কোরআন পোড়ানোর কারণে তাদের দেশে এখন নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেট্টে ফ্রেদ্রিকসন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কোরআন পোড়ানোয় নিন্দা প্রকাশ করে জানান ধর্মীয়গ্রন্থকে অবমাননা করা কখনো ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ এখানে দাঁড়ায় এবং বাইবেল পোড়ায় আমি মনে করি এটি ভুল হবে। আমি মনে করি না ইহুদিদের জন্য আমাদের তোরাহ পোড়াতে হবে।’
সূত্র: রয়টার্স