সারাদেশ

পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ৩:০৯:০৩

শেয়ার করুন

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি-সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় পরিবারের লোকজনকে অজ্ঞান করে কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে গতকাল রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। গত সোমবার গভীর রাতে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটের চর এলাকায় জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিন জন ব্যক্তি।

ভুক্তভোগীর ভাই জানায়, পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ওই কিশোরী। বড় বোনের বিয়ে হওয়ায় তিনি স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। সোমবার রাতে বাবা-মা ও ছোট বোন রাতের খাবার খাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশীরা তাকে ডেকে ঘুম ভাঙান। পরে বোনের কাছ শুনতে পান রাতে গ্রিল কেটে তিনজন ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে বোনের মুখে গামছা গুজে ধর্ষণ করেছে। ভাইকে ডাকলেও আওয়াজ বের হয় নি। ধর্ষণ শেষে নগদ টাকা ও বেশকিছু স্বর্ণের অলংকার, দুটি মোবাইল নিয়ে গেছে ধর্ষণকারীরা। বর্তমানে ভূক্তভোগী ওই কিশোরীকে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে এবং বাবা-মাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসার পাশেই সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ আমাদের জমির বেশ কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে। এঘটনায় মামলাও করেছি। এরপর থেকেই আমাদের উপর ক্ষিপ্ত তাঁরা। তারাই আমার বোনের সর্বনাশ করেছে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ হাবীব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। জমি দখলের কোন ঘটনা ঘটেনি। একাধিকবার জমি মেপে বিষয়টির সমাধানও করা হয়েছে। এখন অযথাই আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিচ্ছে। আমি চাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়নে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মোঃ আব্দুল কাদের/


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content