প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২৩ , ২:৩২:২৮
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি।
শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি করা হয়। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধা অসিত সরকার সজল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বিসিএসআরআই-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ, কবি আসলাম সানি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, সাবেক ছাত্রনেতা এবং পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল প্রমুখ।
শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড এখনো তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়নি। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী কারা ছিলেন সেটাও পুরোপুরি জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া ক্ষমতায় এসে খুনিদের চাকরি দেন, পুনর্বাসন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর পেয়ে জিয়া বলেছিল, তাতে কী হয়েছে, উপ-রাষ্ট্রপতি আছেন। এসব ইঙ্গিত করে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে তিনি ছিলেন।
বাহাদুর ব্যাপারী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। খুনি এবং তাদের দোসররা ক্ষমতায় এসে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালনার চেষ্টা করেছিল। অনেক পরে হলেও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে কিন্তু অনেক খুনির মুখোশ উন্মোচন হয়নি। তাই দ্রুত একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত ছিল সেটা অনেকটাই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। এ দেশের মানুষকে তাদের প্রিয় নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা কারা করেছিল, সেটা জানাতে অবশ্যই একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার আংশিক বিচার সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অনেক কুশিলবের মুখোশ উন্মোচন হয়নি। একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করে এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক। সঞ্চালনা করেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
এতে আরও অংশ নেন বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য বিমান রায়, তমিজ তমি, মাকসুদ আলম ডাবলু, সৈয়দ হেমায়েত, ব্যারিস্টার গোলাম শাহরিয়া, ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল, তাওহিদুর রহমান কাজল, মোজাম্মেল হক মারুফ, মোহাম্মদ মহসিন, মিজানুর রহমান রুবেল, জ্যোতিকা জ্যোতি, মঞ্জুর রহমান, উৎপল সাহা, সাহনুর আলম, সুজন হাজরা, যুবলীগের সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।