একবার কোরআন হাফেজদের নিয়ে একটি প্রোগ্রাম দেখছিলাম টিভিতে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালক কোরআন মজিদের একটি অংশ থেকে দুই আয়াত পড়ে শোনান,তারপর প্রতিযোগিকে বলেন এরপর থেকে পড়তে!
ছোট ছোট ছেলেরা সঞ্চালকের দেয়া সেই দুই আয়াত থেকে এরপরের আয়াত গুলো হুবহু মুখস্থ পড়ে যায়! আমার কাছে এই ব্যাপারটি সত্যিকার অর্থে মিরাকল লাগে!
আল্লাহর দেয়া বিশেষ নেয়ামত কারো উপর না থাকলে কোরআন হাফেজ হয়ে উঠা অসম্ভব!
আপনি আর আমি ক্লাস ওয়ানের একটা বাংলা বই শত চেষ্টা করেও দাড়ি,কমা,পেইজ নাম্বার সহ মুখস্থ রাখতে পারবো না। অথচ অপরিচিত আরবি ভাষায় লেখা কোরআন মজিদ মুখস্থ করে ফেলছেন একজন হাফেজ!
বুয়েটের ছাত্র মারা গেলে কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হ*ত্যা*কাণ্ডের শিকার হলে আমরা "মেধাবী ছাত্র" হ*ত্যার বিচার চেয়ে সমাজের সর্বস্তরের সবাই প্রতিবা*দ জানাই।
এই যে দুইদিন আগে বা'আলের শান্তি সমাবেশে তাদের দুই গ্রুপের মা*রা*মারির মাঝে পড়ে মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল ইসলাম হ*ত্যা*কাণ্ডের শিকার হলেন এই ঘটনা নিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া,প্রিন্ট মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই নিশ্চুপ!
মাদ্রাসা ছাত্র বলে কি রেজাউল ইসলাম এর হ*ত্যার বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?
মাদ্রাসা পড়ুয়া একজন হাফেজ কি আমাদের এই সমাজের দৃষ্টিতে তথাকথিত "মেধাবী " ফিল্টারে জায়গা পাওয়ার যোগ্য না?
ফেসবুক আইডি-Rashed Khan
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ