আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ২০ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে শেষ হলো মুনা সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২৩ , ৭:৩৮:২৯

0Shares

শেয়ার করুন

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ প্রবাসী মুসলমানদের অংশগ্রহণে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘মানবতার জন্য কোরআনের নির্দেশিকা’ শীর্ষক মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা)-এর ষষ্ঠ সম্মেলন। তিন দিনের এ সম্মেলনে পরপর দুইদিন তরুণ বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী অংশ নেন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সম্মেলনের আলোচনায় ড. মিজানুর রহমান আজহারী বক্তব্য দেন।

মুনা সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, ড. মিজানুর রহমান আজহারী প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনাসহ মুনা সম্মেলনে অংশ নিলেন।

 

সম্মেলনে ইসলামি চর্চা ও আলোচনা ছাড়াও ছিল সেমিনার, ছোটদের অনুষ্ঠান, নারীদের জন্য আলাদা অনুষ্ঠান, বাচ্চাদের খেলাধুলা, কালচারাল প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্রোগ্রাম। চারটি মহাদেশ থেকে ইসলামিক বিদ্বানরা উক্ত সম্মেলনে যোগ দেন।

মুনা কনভেনশনের চেয়ারম্যান আরমান চৌধুরী সিপিএ ও আনিসুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- ড. ওমর সুলাইমান, ড. আলতাফ হোসেন, হারুণ ও রশিদ ও সাইখ আব্দুল নাসির জাগদা।

সম্মেলনে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আল কোরআন হচ্ছে আল্লাহর শিফা (আরোগ্য ও নিরাময়)। মহান রাব্বুল আল্লাহ তা’আলার যেমন ক্ষয় নেই, ঠিক তেমনি কোরআনেরও কোনো ক্ষয় নেই।

 

তিনি বলেন, কোরআন না থাকলে পৃথিবীতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য কি, তা জানতে পারতাম না। ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতাম। খেতাম, কাজ করতাম, পৃথিবী আবাদ করতাম, উন্নয়ন হতো কিন্তু পৃথিবীতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য কখনই জানতে পারতাম না। কোরআন আমাদের কাছে সেটা পরিষ্কার করেছে।

তিনি আরও বলেন, কোরআন ব্যতীত সব ধর্মগ্রন্থই নবীদের ওপর একবারেই নাজিল হয়েছে। কিন্তু কোরআন নাজিল সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে ২৩ বছর। কোরআন আমাদের আলোকিত জীবনের সন্ধান দেয়, উন্নতির দিকে নিয়ে যায়। অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো মানবতাকে আলোকিত করে। কোরআন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- একটি ভূ-খণ্ডের অক্ষর জ্ঞানহীন জাতি ও গোষ্ঠীর পুরো জীবনধারাকে পাল্টে দিয়েছিল এ কোরআন।

পরদিন দুপুর ১২টার দিকে আজহারী কোরআনে উল্লেখিত মানব জীবনের রিযিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। তিনি সূরা যারিয়াত, সূরা বাকারা, সূরা হুদ, সূরা বনী ইসরাইল ও সূরা রহমানের বিভিন্ন আওয়াতের অর্থ ব্যাখ্যা করে রিযিক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি রিযিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী। আল কোরআনে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, তিনি হলেন রিযিকদাতা। আল্লাহ আমাদের রিযিক দান করেন। কিন্তু রিযিক নষ্ট করতে বলেন নি। আপনাকে আল্লাহ অনেক রিযিক দান করেছে? তাহলে আপনি সাবধান হোন। কারণ, এটা একটি পরীক্ষা।

আজহারী ২০১০ সালে ইসলামি গজল ও কিরাত দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি একটি বাংলা টিভিতে ইসলামি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তিনি ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি অল্প কয়েক বছরেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেন। বর্তমানে যে কয়জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

শুক্রবার সম্মেলনে বক্তব্য দেন মুনার ন্যাশনাল কমিটির সভাপতি হারুন ও রশীদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা লুৎফর রহমান, আব্দুস সালাম আজাদী ও আহমেদ আবু ওবায়দুল্লাহ।

 


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content